অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে একটি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে জিম্মির ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে বিবেচনা করছে পুলিশ। এবং এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল।
রাজধানীতে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে টার্নবুল বলেন, ‘পরিচিত একজন অপরাধীই এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। যিনি অতি সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। এটা খুবই জঘন্য এবং কাপুরুষচিত অপরাধ। এটা এক সন্ত্রাসীর হামলা। এই হামলা আমাদের অব্যাহতভাবে সতর্ক থাকার প্রয়োজনের কথা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মোকাবিলায় কখনো ভয় পেলে চলবে না। সব সময় সাহসের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি হতে হবে। ‘
উল্লেখ্য, আমাক নিউজ এজেন্সিতে এক বিবৃতিতে ইসলামিক স্টেট (আইএস) মেলবোর্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সোমবার মেলবোর্ন উপকণ্ঠে ব্রাইটন এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টের হলরুমে একটি মৃতদেহ দেখতে পায়। ভবনের ভেতর এক ব্যক্তি এক নারীকে জিম্মি করেছিল। শুরুতে আলোচনার পর পুলিশ সেখানে অভিযান চালায় এবং হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করে। জিম্মি নারীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ইয়াকুব খায়ের (২৯)। ছবি : রয়টার্স
বিবিসি জানায়, নিহত হামলাকারীর নাম ইয়াকুব খায়ের (২৯)। খায়েরকে ২০০৯ সালে সিডনি সেনাঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে মঙ্গলবার নিশ্চিত করে পুলিশ। অতি সম্প্রতি সে প্যারোলে মুক্তি পায়।
পুলিশ জানায়, অ্যাপার্টমেন্টের হলরুমর থেকে যে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে তাকেও খায়েরই গুলি করে হত্যা করেছে। আইএসর হামলার দায় স্বীকার নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানান ভিক্টোরিয়া স্টেট পুলিশ কমিশনার গ্রাহাম অ্যাশটন।
সোমালিয়া বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক খায়েরের অপরাধের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ বলেও জানান পুলিশ কমিশনার অ্যাশটন। মেলবোর্নে হামলার সময় সে প্যারোলে ছিল।
সূত্র : বিবিসি