বর্তমানে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় চালে মজুদ কিছুটা কম রয়েছে। হাওর অঞ্চলে অকাল বন্যার কারণে যে ফসলহানি হয়েছে, সে জন্য ঘাটতি পূরণে সরকার ইতিমধ্যে বিদেশ হতে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুর ইসলাম এ তথ্য জানান।সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. গোলাম রাব্বানীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি আরো জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকার ইতিমধ্যে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে। এ ছাড়া ভিয়েতনামের সঙ্গে জি টু জি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য এমওইউ স্বাক্ষরের লক্ষ্যে বর্তমানে ভিয়েতনামের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছেন।
তিনি জানান, দেশের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। সে লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস প্রতিকেজি ১০ টাকা মূল্যে ৫০ লাখ উপকারভোগীর মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা শহরে ওএমএস খাতে আটা বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অপরদিকে খাদ্য চাহিদা পূরণে ভিজিডি, ভিজিএফ, জিআর ইত্যাদি খাতে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, হাওরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় খাদ্যশস্যর ক্ষতিসাধন হলেও এতে খাদ্য অভাব দেখা দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।