লংগদুতে পাহাড়ীদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন ও সেখানে সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার।
তাকে সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ অবিলম্বে সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সুযোগ নিয়ে তারা এই দাবি জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে সম্পূরক বাজেট নিয়ে আলোচনা শেষে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সুযোগ নেন উষাতন তালুকদার। তিনি যুবলীগ নেতা নয়ন হত্যার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ওই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে নিরীহ পাহাড়িদের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তি দাবি জানান।পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি থেকে নির্বাচিত এমপি ঊষাতন তালুকদার বলেন, যুবলীগ নেতার হত্যার সেন্টিমেন্টকে পূঁজি করে দুর্বৃত্তরা পাহাড়িদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। সেখানে দুই শতাধিকের বেশী ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা পাহাড়ে-জঙ্গলে আতঙ্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ১৯৮৯ সালেও লংগদুতে এ ধরনের হামলা হয়েছিল। এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করতে হবে। পাশাপাশি সংসদের প্রতিনিধি দল সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করা দরকার। যাতে তাদের মধ্যে আতঙ্ক দূর হয়।
আদিবাসী নেতা উষাতন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারা খাদ্যের সংকটের মধ্যে রয়েছে। তাদের খাদ্যে নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর পার্বত্য শান্তি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়াতেই এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটছে। তিনি শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি করেন।
এরপর পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সুযোগ নিয়ে নিয়ে বিএনএফ প্রধান আবুল কালাম আজাদ ওই ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, লংগদুতের ঘটনা আমাদের রাষ্ট্রের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছে। এ ঘটনার জন্য দায়িদের চিহ্নিত করতে হবে। ঘটনা তদন্তে অবিলম্বে সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।