গরু বেচাকেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আর এ-সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারির পর মেঘালয় রাজ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মেঘালয় বিজেপিতেও ধরেছে ভাঙন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এনডিটিভি।
ইতিমধ্যে দল থেকে দুই নেতা পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন মেঘালয়ের পশ্চিম গারো হিল বিজেপির জেলা সভাপতি বার্নার্ড এন মারাক এবং উত্তর গারো হিল বিজেপির সভাপতি বাচ্চু সি মারাক।
এদিকে কেন্দ্রের গবাদিপশু কেনাবেচার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে চাপের মুখে সুর নরম করেছে বিজেপি সরকার। বিজেপি বলছে, গবাদিপশু জবাইয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাজ্যের হাতেই থাকছে।
মেঘালয়ে গরুর মাংস বেশ জনপ্রিয়। রাজ্যে প্রচুর আদিবাসী ও খ্রিস্টান বাস করেন। তাদের কাছে খাবার হিসেবে এই গোশতের কদর রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা জারির পর মেঘালয়ের গোশত ব্যবসায়ী ও গরু-হাটের ব্যবসায়ীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তারা সরকারের ওই সিদ্ধান্ত মানবেন না। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজ্য বিজেপির নেতারা মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে ‘বিফ ফেস্ট’ এর আয়োজন করেন। এ অনুষ্ঠানে আপত্তি জানায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
পশ্চিম গারো হিল বিজেপির সভাপতি বার্নার্ড এন মারাক ঘোষণা দেন, কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উৎসবে তারা ‘বিফ পার্টি’ করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আগে একজন খ্রিষ্টান ও গারো, পরে দলীয় কর্মী। বিজেপি স্থানীয় মানুষের আবেগে আঘাত দিয়েছে। উপজাতি মানুষদের নিজস্ব রীতি রয়েছে। ‘