৫ ফেব্রুয়ারি, জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। এ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রন্থাগার হল জ্ঞানের ভাণ্ডার। জ্ঞানার্জন, গবেষণা, চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশ, সংস্কৃতি চর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষকে আলোকিত করে তোলা এবং পাঠাভ্যাস নিশ্চিতকরণে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিসীম।
দেশে প্রথমবারের মতো আজ ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০১৮’ পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত গ্রন্থের প্রসার এবং গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে।
বর্তমান সরকার বেসরকারি গ্রন্থাগারে বিনামূল্যে বই সরবরাহ এবং আর্থিক অনুদান দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত গণগ্রন্থাগার অধিদফতর পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ডিজাইন বাছাইকরণ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ডিজিটাল আর্কাইভস্ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছি।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি গণগ্রন্থাগারে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবাদানের লক্ষ্যে অনলাইন লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলায় সরকারি গণগ্রন্থাগারে নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
দিবসটির সার্বিক সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রন্থাগারের সুষ্ঠু ব্যবহার, উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।