ষ্টাফ করেসপনডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস: কাপাসিয়ায় ভূয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করার পর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা দুই ভূয়া ডাক্তারকে আটক করলেও ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে কাপাসিয়ার টোক বাজারে অবস্থিত টোক আধুনিক হাসপাতালে(বেসরকারি) ওই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টোক ইউনিয়নের গুসের কান্দি গ্রামের জনৈকা অন্তঃসত্ত্বা জেসমিন আক্তারকে সন্তান প্রসবের জন্য ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। প্রসবের পর সন্তানের মৃত্যু হলে
উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে এলাকাবাসী অভিযুক্ত দুই ডাক্তার রমজান আলী ও রফিকুল ইসলামকে আটক করে এমবিবিএস পাশের সনদ চায়। তারা সনদপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ আসার পর রফিকুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যায় ও রমজান আলীকে পুলিশ আটক করে। কিছুক্ষন পর পুলিশ রমজান আলীকে গাড়িতে করে কিছু দূর এনে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে টোক আধুনিক হাসপাতালের মালিক মোঃ এখলাছ উদ্দিন জানান, ডাঃ রমজান আলী ও ডাঃ রফিকুল ইসলাম তাদের পাশ করার সনদপত্র দেখাতে পারেননি। পুলিশ একজনকে আটক করে ছেড়ে দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, তার হাসপাতালে ওই দুইজন ব্যাতিত ডাঃ বিপ্লব কুমার নামে আরো একজন ডাক্তার রয়েছেন। তিন ডাক্তার তাদের সনদপত্র না দেখানোর কারণে গাজীপুরের সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহন হয়নি। বর্তমানে তারা জোরপূর্বক চিকিৎসা করে যাচ্ছেন বলে জানান এখলাস উদ্দিন।
অভিযুক্ত রমজান আলীর বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে ও রফিকুল ইসলামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায় বলে জানা গেছে।
এসকল বিষয়ে গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ আলম শরীফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওরা ভূয়া ডাক্তার। তাদের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর নোটিশ দেয়া হয়েছে। ১০/১৫ দিন চলে যাওয়ারও তারা সনদপত্র জমা দিতে আসনেনি। এরপর সিভিল সার্জন অফিসের ডাক্তার আতিকুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠালেও অভিযুক্তরা ডাক্তারী সনদ দিতে ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ে পরবির্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, পুলিশ গিয়ে ভূয়া ডাক্তারদের খুঁজে পায়নি।