ঢাকা; বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে অভিজাত ক্রিকেট আসরের মর্যাদা পায় টুর্নামেন্টটি। ওয়ানডে ক্রিকেট আসর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর্দা উঠছে আজ। আর আসরের শুরুতেই দেখা যাবে বাঘে-সিংহে লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে লন্ডনের ওভাল মাঠে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা।
বৃটিশ সিংহদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ শুরু বিকাল সাড়ে ৩টায়। ভিন্ন ফরমেটে আয়োজিত শেষ দুই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাইরে কাটে বাংলাদেশ দলের। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল কেবল খেলার সুযোগ পায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ দুই আসরে। তবে এবার র্যাঙ্কিংয়ের সপ্তম স্থান নিয়ে আসরের টিকিট নিশ্চিত করেন টাইগাররা। আর টাইগাররা আসরে পা রাখে র্যাঙ্কিংয়ের ষষ্ঠ স্থানে উন্নতি নিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাক্কালে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয় কুড়ায় টাইগাররা। এতে শ্রীলঙ্কাকে সরিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের ষষ্ঠ স্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ। এটাকে গ্রুপ অব ডেথ মানছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মাটিতে এবারের চ্যম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও সর্বশেষ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মোকাবিলা করছে টাইগাররা।
১৯৯৮ সালে প্রথমবার মাঠে গড়ায় আইসিসির এ ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। আর প্রথম আসরের সঙ্গে জড়িয়ে বাংলাদেশের নাম। ১৯৯৮ সালে ‘আইসিসি নকআউট টুর্নামেন্ট’ নামে আসরের প্রথম সংস্করণটি আয়োজিত হয় বাংলাদেশে। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শিরোপা কুড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দু’বছর পর এর দ্বিতীয় সংস্করণটিও মঞ্চস্থ হয় নকআউট টুর্নামেন্ট নামে। পরে ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’ নামকরণ করা হয় আসরটির। শুরুর ৫ সংস্করণ আয়োজিত হয় দুই বছরের বিরতিতে। তবে চার বছরের বিরতিতে মঞ্চস্থ হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গত দুই আসর। আর ২০০৯-এর সংস্করণ থেকে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দলই কেবল খেলার সুযোগ পাচ্ছে এ আসরে । চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সংস্করণ বাংলাদেশে মঞ্চস্থ হলেও এতে খেলার সুযোগ পাননি টাইগাররা। তখনও আইসিসির পূর্ণসদস্য পদ অর্জন করেনি বাংলাদেশ। ২০০০, ২০০২ ও ২০০৪-এর আসরে পূর্ণ সদস্য দলের সঙ্গে আসরে খেলার সুযোগ পায় আইসিসির সহযোগী দেশগুলোও। সর্বশেষ আসরের প্রাক্কালে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছিল, ২০১৩’র আসরের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্ট আর আয়োজন করা হবে না। এর বদলে আইসিসির পঞ্জিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে ২০১৪ সালে আইসিসি জানায়, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যথারীতি আয়োজন করা হবে। আর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভাবনা বাতিল করা হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এটি অষ্টম সংস্করণ। ইংল্যান্ডে ও ওয়েলসে এ আসর মঞ্চস্থ হচ্ছে তৃতীয়বার। উপমহাদেশের দুই দেশ শ্রীলঙ্কা ও ভারত এ টুর্নামেন্টের আয়োজকের মর্যাদা পেয়েছে যথাক্রমে ২০০২ ও ২০০৬ সালে। এমন মর্যাদা পেতে পারতো উপমহাদেশের অপর দেশ পাকিস্তানও। ২০০৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা ছিল পাকিস্তানে। তবে নিরাপত্তা ইস্যুতে পাকিস্তান থেকে এ আসর সরিয়ে নেয় আইসিসি। ২০০৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মঞ্চস্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০১৩তে এর সর্বশেষ সংস্করণটিও আয়োজিত হয় ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে। এর আগে ২০০৪ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে। কমপক্ষে একবার এ আসরে খেলেছে ১৩টি দেশ। আসরে দুইবার শিরোপার গৌরব অস্ট্রেলিয়ার (২০০৬, ২০০৯)। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একবার যুগ্ম চ্যাম্পিয়নের (২০০২) সঙ্গে দুইবার শিরোপার (২০১৩) গৌরব রয়েছে ভারতেরও। একবার করে এ শিরোপার স্বাদ নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এর আগে চারবার (২০০০, ২০০২, ২০০৪ ও ২০০৬) অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাট হাতে সর্বাধিক রানের রেকর্ড শাহরিয়ার নাফীসের। ২০০৬ আসরে তিন ম্যাচে ৮৩.০০ গড়ে ১৬৬ রান করেন এ টাইগার ওপেনার। সেবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নাফীস খেলেন ১২৩* রানের দারুণ ইনিংস। আসরে ৮ ম্যাচে সর্বাধিক ৬ উইকেট শিকার বাঁ-হাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের। তবে বর্তমান দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবল মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিজ্ঞতা। ২০০৬ আসরে তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে সাকিব ১০১ ও মাশরাফি করেন ৪৩ রান। আর বলহাতে সাকিবের ৩ ও মাশরাফির শিকার দুই উইকেট।
১৯৯৮ সালে প্রথমবার মাঠে গড়ায় আইসিসির এ ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। আর প্রথম আসরের সঙ্গে জড়িয়ে বাংলাদেশের নাম। ১৯৯৮ সালে ‘আইসিসি নকআউট টুর্নামেন্ট’ নামে আসরের প্রথম সংস্করণটি আয়োজিত হয় বাংলাদেশে। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শিরোপা কুড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দু’বছর পর এর দ্বিতীয় সংস্করণটিও মঞ্চস্থ হয় নকআউট টুর্নামেন্ট নামে। পরে ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’ নামকরণ করা হয় আসরটির। শুরুর ৫ সংস্করণ আয়োজিত হয় দুই বছরের বিরতিতে। তবে চার বছরের বিরতিতে মঞ্চস্থ হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গত দুই আসর। আর ২০০৯-এর সংস্করণ থেকে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দলই কেবল খেলার সুযোগ পাচ্ছে এ আসরে । চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সংস্করণ বাংলাদেশে মঞ্চস্থ হলেও এতে খেলার সুযোগ পাননি টাইগাররা। তখনও আইসিসির পূর্ণসদস্য পদ অর্জন করেনি বাংলাদেশ। ২০০০, ২০০২ ও ২০০৪-এর আসরে পূর্ণ সদস্য দলের সঙ্গে আসরে খেলার সুযোগ পায় আইসিসির সহযোগী দেশগুলোও। সর্বশেষ আসরের প্রাক্কালে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছিল, ২০১৩’র আসরের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্ট আর আয়োজন করা হবে না। এর বদলে আইসিসির পঞ্জিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে ২০১৪ সালে আইসিসি জানায়, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যথারীতি আয়োজন করা হবে। আর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভাবনা বাতিল করা হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এটি অষ্টম সংস্করণ। ইংল্যান্ডে ও ওয়েলসে এ আসর মঞ্চস্থ হচ্ছে তৃতীয়বার। উপমহাদেশের দুই দেশ শ্রীলঙ্কা ও ভারত এ টুর্নামেন্টের আয়োজকের মর্যাদা পেয়েছে যথাক্রমে ২০০২ ও ২০০৬ সালে। এমন মর্যাদা পেতে পারতো উপমহাদেশের অপর দেশ পাকিস্তানও। ২০০৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা ছিল পাকিস্তানে। তবে নিরাপত্তা ইস্যুতে পাকিস্তান থেকে এ আসর সরিয়ে নেয় আইসিসি। ২০০৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মঞ্চস্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০১৩তে এর সর্বশেষ সংস্করণটিও আয়োজিত হয় ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে। এর আগে ২০০৪ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে। কমপক্ষে একবার এ আসরে খেলেছে ১৩টি দেশ। আসরে দুইবার শিরোপার গৌরব অস্ট্রেলিয়ার (২০০৬, ২০০৯)। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একবার যুগ্ম চ্যাম্পিয়নের (২০০২) সঙ্গে দুইবার শিরোপার (২০১৩) গৌরব রয়েছে ভারতেরও। একবার করে এ শিরোপার স্বাদ নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এর আগে চারবার (২০০০, ২০০২, ২০০৪ ও ২০০৬) অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাট হাতে সর্বাধিক রানের রেকর্ড শাহরিয়ার নাফীসের। ২০০৬ আসরে তিন ম্যাচে ৮৩.০০ গড়ে ১৬৬ রান করেন এ টাইগার ওপেনার। সেবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নাফীস খেলেন ১২৩* রানের দারুণ ইনিংস। আসরে ৮ ম্যাচে সর্বাধিক ৬ উইকেট শিকার বাঁ-হাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের। তবে বর্তমান দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবল মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিজ্ঞতা। ২০০৬ আসরে তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে সাকিব ১০১ ও মাশরাফি করেন ৪৩ রান। আর বলহাতে সাকিবের ৩ ও মাশরাফির শিকার দুই উইকেট।