প্রশ্ন করে তোপের মুখে বিরোধীদলীয় এমপি

Slider জাতীয় রাজনীতি

144307ab

 

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ  পাটকল বন্ধ নিয়ে প্রশ্ন করে প্রতিমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়লেন বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন পাটকলগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এগুলোর রক্ষায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

একসময় বিএনপি সরকারের পাটমন্ত্রী মাঈদুল ইসলাম এ প্রশ্ন করায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ‘বিএনপি আমলেই পাটকল ধ্বংস করা হয়েছে। প্রশ্নকর্তা নিজেই বিএনপি আমলে এ পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। উনি অসত্য তথ্য দিচ্ছেন। ‘

আজ বুধবার সংসদের ১৬তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরকালে এ কে এম মাঈদুল ইসলাম সম্পূরক প্রশ্নের ফ্লোর পান জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। তার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় সদস্য এই মুহূর্তে যিনি প্রশ্ন করেছেন উনি আসলে জাতীয় পার্টির সদস্য হিসেবে বলেছেন। কিন্ত আগে যিনি প্রশ্ন করেছেন। উনি অসত্য তথ্য উত্থাপন করেছেন। উনি (জিয়াউদ্দিন বাবলু) এই মাত্র বলেছেন বিএনপি সরকারের সময় পাটকে ধ্বংস করা হয়েছে। যিনি প্রশ্নকর্তা ছিলেন (মাঈদুল) তিনিও কিন্তু একসময় বিএনপির মন্ত্রী হিসেবে পাটকলগুলোর দায়িত্বে ছিলেন এবং বিএনপি ধ্বংস করেছেন এখন তিনি জাতীয় পার্টি করছেন। ‘ এ সময় সংসদ গ্যালারিতে হাসির রোল পড়ে যায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জুটমিলগুলো এরশাদের আমলে বেসরকারীকরণ করা হয়। সে সময় যে শর্তে বেসরকারীকরণ করা হয় তার একটি শর্তও কিন্তু মিল মালিকরা মানেননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে শর্ত ভঙ্গের দায়ে প্রতি সপ্তাহে একটি করে জুটমিল ‘টেক ব্যাক করছে’। আমরা টেক ব্যাক করা মিলগুলো নতুন করে চালানোর ব্যবস্থা করছি।

শব্দযন্ত্র বিভ্রাট
শব্দযন্ত্রের ত্রুটির কারণে আজ বুধবার সংসদ সদস্যদের মাইক্রোফোনের মাধ্যমে কথা বলতে হয়েছে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, “সেন্ট্রাল সাউন্ড সিস্টেম চালু করা যাচ্ছে না। আমি নাম বলার পর নিজেরা নিজেদের মাইক্রোফোন অন করবেন। আমি এ ব্যাপারে সহযোগিতা করব। ”

বিদ্যমান ব্যবস্থায় সংসদে স্পিকার কোনো সংসদ সদস্যকে ফ্লোর দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার মাইক চালু হয়ে যায়। স্পিকার তাকে বসতে বললে মাইক বন্ধ হয়ে যায়। এটা সংসদ সচিবালয় থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটা করা সম্ভব হয়নি। মাইক্রোফোনের বিভ্রান্তির কারণে অনেক সদস্যকে নিজের আসন ছেড়ে অন্যের আসনে গিয়ে কথা বলতে হয়েছে। এতে সংসদ সদস্যদের বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *