সিলেটে এক স্ত্রীর দুই স্বামী নিয়ে মারামারী

Slider সিলেট

IMG_20170529_200858

.

সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাজারে  এক মহিলাকে স্ত্রী দাবী করে সড়কে টানাহেঁচড়া করেছে দু’স্বামী। এক স্বামীর আঘাতে অন্য স্বামী জামিল আহমদ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

২৯/০৫/২০১৭ সোমবার দুপুরে উপজেলার ঢাকাদক্ষিন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউপির মীরের চক গ্রামের বিলাল আহমদের কন্যা রুমা বেগম (২০) এর সাথে এক বছর আগে বিয়ে হয় মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার মাইজগ্রামের মৃত শখাওত আলীর পুত্র আব্দুর রহিম (৪০) এর সাথে।

প্রায় তিন মাস আগে আব্দুর রহিম তার স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়ী রেখে যান। কিছু দিন পর স্ত্রীকে নিতে শ্বশুর বাড়ী এলে স্ত্রীকে সেখানে না পেলে রুমার মা জানান রুমা বেগম তাদের এক আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছে।

তখন স্ত্রী রুমা বেগমকে নিয়ে স্বামী আব্দুর রহমানের সন্দেহ হয়। তখন তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন- তার বিবাহিত স্ত্রী রুমা বেগমের সাথে জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের এলেনজুরী গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র জামিল আহমদ (২১) এর অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে।

এ ব্যাপারে রুমার প্রথম স্বামী আব্দুর রহিম জানান, রুমা আমার বিবাহিতা স্ত্রী। প্রায় একবছর আগে আমার সাথে রুমার বিয়ে হয়। কিন্তু আমি এখনও আমার স্ত্রীকে তালাক দেইনি।

রুমার পিতা মাতা আমাকে দিয়ে ৫০হাজার টাকা ব্যাংক লোন নিয়েছেন। এভাবে কয়েকবার আমি তাদের টাকা উত্তোলন করে দিয়েছি। টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য রুমাসহ তার পিতা মাতা আমার সাথে কয়েকদিন যাবৎ খারাপ আচরণ করে আসছে।

এদিকে রুমার অবৈধ স্বামী জামিল আহমদ রুমাকে তার বিবাহীতা স্ত্রী বলে দাবী করে জানান- গত শনিবার বিকালে আমার বাড়ি থেকে রুমার পিত্রালয়ে রমজান উপলক্ষে বাজার খরচ করে নিয়ে এসে আমার স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে দুই রাত্রী যাপন করি।

আজ আমার বাড়িতে ফেরার পথে হঠাৎ দেখতে পাই একজন লোক আমার পিছু পিছু হাটছে। একসময় ঢাকাদক্ষিণ বাজারে এসে আব্দুর রহিম আমাকে আক্রমন করে।

এ ব্যাপারে ঢাকাদক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মাও. আব্দুর রহিম জানান, স্থানীয় লোকজন ঘটনার সাথে জড়িত দুই ব্যক্তিকে আটক করে ইউনিয়নে নিয়ে আসে। তখন তাদের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে রুমা বেগমের মায়ের সাথে আমাদের ফোনে কথা হলে তিনি জানান আব্দুর রহিমের সাথে তার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং জামিল আহমদের সাথে রুমার বিয়ে হয়েছে কি না জানতে চাইলে রুমার মা বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।

এসময় তিনি রুমাকে ও তার মাকে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নিয়ে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নে আসার কথা বললে তারা আসতে অপারগতা প্রকাশ করে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। তখন দুজনকে ইউপি কার্যালয়ে রেখে দু’পক্ষের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *