ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি এড়াতে তোড়জোর শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে জেলার সব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গঠন করা হয়েছে ২৪০টি মেডিক্যাল টিম।
আজ সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে সরে বাংলাদেশ উপকূলের ৪৫০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে এই সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পায়রা ও মোংলা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সম্ভাব্য জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মেডিক্যাল টিম গঠনের পাশাপাশি খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।