আন্তর্জাতিক মহলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেই চলেছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন সেনাবাহিনীর দাবি, আবারও একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে কিমের দেশ। উৎক্ষেপণের পর সেটি সমুদ্রে পড়ে বলেও দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩৯ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এছাড়া দেশটির সেনাবাহিনী উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর উপর নজরদারি চালিয়ে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে জানানো হয়েছে।
এদিকে তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে জাপান । দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের উপকূল থেকে দুইশ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক জোনে আছড়ে পড়ে কিমের ক্ষেপণাস্ত্রটি। এছাড়া জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইউশিহাইড শুগা এক বিবৃতিতে জানান, বিমান এবং জাহাজের নিরাপত্তার জন্য এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ গুরুতর সমস্যা। এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিষ্কারভাবে জাতিসংঘের প্রতি অবমাননা। উত্তর কোরিয়ার একের পর এক এ ধরনের কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে সোমবার বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার তৈরি করা প্রচুর স্কাড মিসাইল মজুত রয়েছে উত্তর কোরিয়ার কাছে। এই মিসাইলগুলো ১ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম। এছাড়া, ওই স্কাড মিসাইলটি ৪৫০ কিলোমিটার আকাশপথ পেরিয়ে জাপানের সমুদ্রে গিয়ে পড়ে বলেও জানানো হয়েছে।