বোলাররা সাবধান!

Slider খেলা

67434_s1

 

 

 

 

 

স্পোর্টস ডেস্ক ঃ  ৩৪১ রান করেও হারলো বাংলাদেশ। পাকিস্তানের লেজের আঘাতেই পরাস্ত বাংলাদেশ। ব্যাটিং দেখে বাংলাদেশ শিবিরে যতটা স্বস্তির বাতাস বয়ে যায়, তার চেয়ে বেশি অস্বস্তি দেখা দেয় বোলিং নিয়ে। শেষের আট ওভারেই খেলা বদলে যায়। এলোমেলো হয়ে যায় সব। কোনো বোলারই লাগাম টানতে পারেননি ফাহিম-হাসানের। তবুও হতাশার কিছু নেই বলে মন্তব্য অভিজ্ঞদের। পাকিস্তানের নবম উইকেট জুটি যা করেছে, তা মোটেও স্বাভাবিক নয়। এটা পাকিস্তান বলেই সম্ভব। অন্য দল হলে হয়তো এমন দেখা যেত না। ২৪৯ রানে পাকিস্তানের আট উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশি বোলাররা তাদের সামর্থ্যেরই প্রমাণ রাখেন। পাকিস্তানের পোড় খাওয়া ব্যাটসম্যানদের ঠিকই থামিয়ে দিতে পেরেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। কোনো বোলারই এককভাবে নয়, উইকেট ভাগাভাগি করেছেন কয়েকজন। তবে পেসারদের বিপক্ষেই যেন বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ছিল পাকিস্তানিরা। মেহেদী হাসান মিরাজ ২ উইকেট নেন ৩০ রানে। এছাড়া মাশরাফি, তাসকিন, সাকিব, মোসাদ্দেক, শফিউল একটি করে উইকেট নেন। উইকেট পাননি সৌম্য সরকার আর সানজামুল ইসলাম। তবে শেষের ব্যাটসম্যানদের তাণ্ডবের কারণে মাশরাফি ও তাসকিন খেই হারিয়ে ফেলেন। তাসকিন ৯ ওভারে দেন ৮০ রান। মাশরাফি ৯.৩ ওভারে দেন ৬৮ রান। কেবল মোসাদ্দেক খানিকটা সমীহ আদায় করেন। তিনি ৬ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। আটজন বোলার ব্যবহার করেন মাশরাফি।
শনিবার বার্মিংহামে প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান বাংলাদেশের ৩৪১ রান টপকে যায় তিন বল আর ২ উইকেট হাতে রেখে। ২৪৯ রানে আট উইকেট পড়ার পর ফাহিম আশরাফ ও হাসান আলী জুটি বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করেন। পাঞ্জাবের ছেলে ফাহিম মাত্র ৩০ বলে ৬৪ আর হাসান ১৫ বলে ২৭ রান করেন। এ জুটি ৯৩ রান করে অবিচ্ছিন্ন থাকে। ২৩ বছর বয়সী ফাহিম চার ছক্কার পাশে চারটি চার মারেন এখনো জাতীয় দলে না খেলা এ পেস বোলার। মাত্র ১৪ রানের মাথায় আজহার আলীকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন তাসকিনই। এরপরের উইকেটটি নেন মাশরাফি। ১ রান করা বাবর আজমকে তিনি যখন ফেরান তখন পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ১৯। সেখান থেকে শেহজাদ ও হাফিজ ৫৯ রান যোগ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন শোয়েব মালিক। ৬৬ বলে ২ ছক্কা আর ছয় চার মারেন তিনি। আর মোহাম্মদ হাফিজ ৪৯, ইমাদ ওয়াসিম ৪৫ ও আহমেদ শেহজাদ ৪৪ রান  করেন।
এর আগে তামিম ইকবালের ১০২ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ৩৪১ রান তুলেছিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছিলেন ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *