উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে সংসদের হাতে আনার বিষয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে সোমবার। এদিন অ্যামিকাস কিউরিদের মতামতের ওপর শুনানি হবে। ৮ম দিনের শুনানি শেষে রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রবিবার অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আদালতে নিজের মতামতের ওপর শুনানি করেছেন ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম এবং আইনজীবী এম আই ফারুকী। এর আগে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে আদালতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিজেদের মতামতের ওপর শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। এরপর নিজ মতামত তুলে ধরে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম। সেদিন আদালতের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় শুনানি অসমাপ্ত রেখে তা রোববার পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়েছিল।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আপিল শুনানিতে সহায়তার জন্য ১২ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ১২ আইনজীবী হচ্ছেন- বিচারপতি টিএইচ খান, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, ব্যারিস্টার আজমালুল কিউসি, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, এম আই ফারুকী।
বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পুনরায় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস করা হয়। এরপর তা ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশ পায়। এ অবস্থায় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।