সংঘর্ষে নিহত হন ছরো মাতুব্বর (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি লক্ষণদিয়া গ্রামে।
এলাকাবাসী জানান, আওয়ামী লীগ-মনোনীত গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমর্থক হাফিজুর রহমান মাতুব্বরের বিরোধ ছিল। হাফিজুরের বাবা তেহারউদ্দিন মাতুব্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছর তিনিও প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন।
সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারেকুজ্জামান জানান, হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগ-মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত। তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা তেহারউদ্দিনের ছেলে হাফিজুরের বিরোধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলছেন, গতকাল শনিবার রাত থেকেই ওই গ্রামে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
আজ সকাল আনুমানিক নয়টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ইউপির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সমর্থক ছরো মাতুব্বর নিহত হন। এতে কমপক্ষে আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান বলেন, পুলিশ লাঠিপেটা করে সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়ে পরে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোড়ে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।