তার কথামতো, পাকিস্তানে বন্দুক দেখিয়ে তাকে বিয়েতে বাধ্য করা হয়। তারপরে তিনি দেশে ফেরার কোনও উপায় না দেখে শরণাপন্ন হন ভারতীয় হাই কমিশনের। অবশেষে উজমা নামের এই তরুণীকে ওয়াঘা সীমান্ত পার করে তুলে দেওয়া হল ভারতের হাতে।
দিল্লির বাসিন্দা উজমা, মে মাসের গোড়ার দিকে পাকিস্তান বেড়াতে গিয়েছিলেন। ইতিপূর্বে তাহির আলি নামের এক পাক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর মালয়েশিয়া ভ্রমণের সময় আলাপ হয়েছিল। পাক ভ্রমণের সময়েই তাহির তাকে বন্দুক দেখিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করে বলে জানান উজমা।
এরপরে তিনি পাক আদালতে অভিযোগ তোলেন, তাকে তাহির জোর করে বিয়ে করেন, এই মর্মে। তাহির তার যাবতীয় কাগজপত্রও আটকে রেখেছে, এমন অভিযোগও আনেন উজমা। সেই সঙ্গে জানান, তাহির তাঁকে ভয়ঙ্কর মারধর করছে।
উজমা পাক আদালতকে জানান, ভারতে তার প্রথম বিবাহের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। সে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। উজমা জানান, যে কোনও মূল্যে তিনি মেয়ের কাছে পৌঁছতে চান। অবশেষে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট তাকে ভারতে ফিরত পাঠাতে নির্দেশ দেয়।
এদিন সকালে উজমাকে ওয়াঘা সীমান্তে পৌঁছে দেন পাক কর্তৃপক্ষ। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাকে টুইটবার্তায় স্বাগত জানান। মেয়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এই আবেগাপ্লুত মুহূর্তেই উজমা সংবাদ মাধ্যমকে জানান- ‘পাকিস্তান মওত কা কুঁয়া। ‘ পাকিস্তান এক মৃত্যুফাঁদ।
– ইন্টারনেট