নজরুল চর্চার মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

Slider জাতীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতি

190437650568_kalerkantho_pic

 

 

 

 

 

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নজরুল চর্চার মাধ্যমে দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠা দিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করার অঙ্গীকার নিতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। আগামীকাল ২৫ জ্যৈষ্ঠ জাতীয়ভাবে কাজী নজরুলের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে।

তিনি বলেন, ‘নজরুলের লেখনী থেকেই আমরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং বাঙালির মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। ’

রাষ্ট্রপতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, সাম্য ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর সাহিত্য সম্ভার যেমন বিশাল তেমনি বর্ণাঢ্য। তাঁর কালজয়ী লেখায় ঋদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য। তিনি একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও সমাজ-সংস্কারক। কবির লেখনী শোষিত-নির্যাতিত ও বঞ্চিতদের অধিকার আদায়ে সকলকে সোচ্চার করে, শিক্ষা দেয় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে।

আবদুল হামিদ বলেন, তাঁর কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে পরাধীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ, শোষণ, বঞ্চনা এবং ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে মুক্তির গান। তিনি বিদ্রোহী, তিনি সংগ্রামী, তিনি প্রেমিক, তিনিই শান্তির বাহক। নজরুলের ক্ষুরধার লেখনীর স্ফূলিঙ্গ যেমন ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়েছে তেমনি তাঁর বাণী ও সুরের অমিয় ঝর্ণাধারা সিঞ্চিত করেছে বাঙালির হৃদয়কে।

তিনি বলেন, বিশ শতকের প্রথম দুই দশকে যখন নজরুলের শৈশব, কৈশোর অতিক্রান্ত হচ্ছিল তখন বাংলা ছিল বঙ্গভঙ্গ, বঙ্গভঙ্গরদ, স্বদেশী আন্দোলন, সশস্ত্র বিপ্লববাদের অভ্যুত্থান এবং হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক সংঘাতে ক্ষত-বিক্ষত। উপমহাদেশে তখন স্বাধীনতা আন্দোলন ও ব্রিটিশ শাসনবিরোধী সংগ্রাম চলছিল। নজরুল অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের পটভূমিতে রচনা করেন কামাল পাশা, বিদ্রোহী, শাতিল আরব, খেয়া পারের তরণী ইত্যাদি কবিতা।

হামিদ বলেন, নজরুলের উপর সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের অনেক অন্যায়-অবিচার হয়েছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসকের কঠিন নিগড় তাঁর বিদ্রোহী কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করতে পারেনি। বিদ্রোহী কবি দাম্ভিক অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে সংগ্রাম করেছেন। নিজের ওপর ছিল তাঁর অদম্য সাহস-আত্মবিশ্বাস এবং সত্যের প্রতি অবিচল আস্থা আর দেশাত্ববোধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *