একজন বাস্তবকে তুলে ধরেছেন রুপোলি পর্দায়। অন্যজন কল্পনাকে এমনভাবে সাজিয়ে তুলেছেন, যা রূপকথাকেও হার মানায়। একদিকে আঞ্চলিক সিনেমার বাড়বাড়ন্ত, অন্যদিকে বলিউডের আভিজাত্য। বক্স অফিসের আখড়ায় একে অপরকে জোর টক্কর দিচ্ছে দুই ভারতীয় ছবি। আয়ের নিরিখে প্রভাসের বাহুবলীর ঘাড়ের কাছেই নিঃশ্বাস ফেলছে আমিরে দঙ্গল। কিছুদিন আগেই ১৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল বাহুবলী। এবার ১৫০০ কোটি টাকার ল্যান্ডমার্ক পার করল বলিউডের এই বায়োপিকও।
এর যাবতীয় ক্রেডিট আমির অ্যান্ড কোম্পানিকে দিতে হবে চিনা দর্শকদের। কারণ সম্প্রতি সেখানে মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের এই ব্লকবাস্টার। আর ইতিমধ্যেই সাড়ে সাতশো কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করে ফেলেছে বাস্তবের এই কাহিনি। আর এই সৌজ্যনেই সবমিলিয়ে আমিরের দঙ্গলের আয় ১,৫৪৬ কোটি টাকা। অবশ্য ১,৫৭৭ কোটি টাকা আয়ের সুবাদে এখনও ভারতীয় সিনেমা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবসার স্বীকৃতি বাহুবলী ২: দ্য কনক্ল্যুশনের দখলেই রয়েছে। কিন্তু আর কতদিন? বলিউডে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এই প্রশ্ন।
মুক্তির আগে থেকেই বাহুবলী ম্যানিয়া ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতবাসীর মনে। আঞ্চলিক সিনেমার তকমা ছাপিয়ে বক্স অফিসের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এই ছবি। এখনও সে ধারা অব্যাহত। শোনা যাচ্ছিল, আঞ্চলিক সিনেমার এই বাড়বাড়ন্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছিলেন বলিউডের হুজ হুরা। সে অবস্থান থেকে দঙ্গলের সাফল্য যেন নতুন করে অক্সিজেন জোগাল ধুঁকতে থাকা বলিউডের ব্যবসাকে। আর চিনা দর্শকের কল্যাণেই এই কেরামতি করে দেখালেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট।