মদ রাখার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজধানীর বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়েছেন। মঙ্গলবার, ২৩ মে সকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে তারা উপস্থিত হন।
দ্য রেইনট্রি হোটেলে কেন মদ রাখা হয়েছিল সে বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা।
এর আগে দ্য রেইনট্রি হোটেলের এমডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার, ২২ মে শুল্ক গোয়েন্দার তলবি নোটিশটি স্থগিত করেন হাইকোর্ট। তবে দুপুরেই ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর আপিল করে। পরে বিকেল ৪টার দিকে শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হোটেল রেইনট্রির মালিককে শুল্ক গোয়েন্দার নোটিশের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশটি ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।
শুল্ক গোয়েন্দার পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডিএজি এস এম মনিরুজ্জামান যুক্তিতর্ক পেশ করেন।
গত ১৪ মে শুল্ক গোয়েন্দার অভিযানে বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ১০১নং কক্ষে ১০ বোতল মদ পাওয়া যায়। প্রথমে হোটেল কর্তৃপক্ষ আটক মাদককে ‘জুস’ হিসেবে বর্ণনা করে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে হোটেল থেকে মদ উদ্ধার হয়নি মর্মে দাবি করে।
১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের পক্ষ থেকে রেইনট্রি হোটেলের এমডি শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুনকে হাজির হয়ে তার হোটেলে পাওয়া মদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। এদিকে সোমবার, ২২ মে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেমিক্যাল টেস্ট রিপোর্টে আটক বোতলের নমুনা পরীক্ষায় ১৩.৪৯% অ্যালকোহল পাওয়া যায়। এই রিপোর্টে আটক পণ্যকে ‘বিদেশি মদ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা হোটেল রেইনট্রি কর্তৃপক্ষকে ১৭ মে তলব করলে তারা অসুস্থতার কথা বলে সময় প্রার্থনা করে। শুল্ক গোয়েন্দা তাদের আবেদনের আলোকে এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে ছয় দিনের সময় দিয়ে ২৩ মে পুনরায় নোটিশ দেয়।
কিন্তু আবেদনে অসুস্থতার কথা বলে সময় নিলেও তারা হাইকোর্টে এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্টের স্থগিত আদেশ প্রাপ্তির সাথে সাথেই শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর আপিল করে। আপিল বিভাগ শুনানি শেষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশটি ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে।