সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি

Slider সারাবিশ্ব

123436saudiUStreaty

 

 

 

 

সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এই চুক্তির খবর নিশ্চিত করেছে।

আরব নিউজ জানিয়েছে, সম্পন্ন হওয়া চুক্তির মধ্যে অস্ত্রখাতে বরাদ্দ রয়েছে ১১ হাজার বা প্রায় ৯ লাখ কোটি ডলার।

২০ মে (শনিবার) প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছান ট্রাম্প। সফরের প্রথম দিনেই প্রতিরক্ষা, ব্যবসা এবং প্রযুক্তি বিষয়ক বেশ কয়েকটি চুক্তি হয় সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে।

সৌদি বাদশা সালমান এবং ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের পর এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দু’টি দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজের অঙ্গীকার হিসেবে ‘জয়েন্ট স্ট্র্যাটেজিক ভিশন ডিক্লারেশন’ স্বাক্ষর করে।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল-জুবায়ের ট্রাম্পের এ সফরকে আরব বিশ্বের জন্য ‘এক নতুন সূচনা’ বলে উল্লেখ করে চুক্তি সম্পন্নের খবর দেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দেশ দু’টি সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আগামী ১০ বছর ধরে এসব চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। যার মূল্যমান ৩৮ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে টিলারসন জানান, ২০টি বৃহৎ মার্কিন কোম্পানিকে সৌদি আরবে সরাসরি বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মার্কিনিদের জন্য হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সৌদি আরবে মার্কিন পণ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে। এর ফলে সৌদি আরব উপকৃত হবে।

টিলারসন আরও বলেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং অন্যান্য সহযোগিতা সৌদি আরব এবং পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলকে নিরাপত্তা দেবে। বিশেষ করে ইরানের হুমকির মুখে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা জোরদার করা খুবই জরুরি।

এদিকে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সৌদি আরবের সঙ্গে স্বাক্ষরিত অস্ত্রচুক্তির মূল্যমান প্রায় ১১ হাজার কোটি ডলার। এটিকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক অস্ত্রচুক্তি’ বলে অভিহিত করেছে হোয়াইট হাউস।

অপর এক চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন থেকে ৬০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ১৫০টি অত্যাধুনিক ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার কিনবে সৌদি আরব। লকহিড মার্টিনের চেয়ারম্যান, প্রেসিডেন্ট ও সিইও ম্যারিলিন এ. হিউসন বলেছেন, এ ঐতিহাসিক চুক্তি অংশীদার হতে পারায় আমরা গর্বিত। এ চুক্তি দু’টি দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।

এছাড়া জ্বালানি খাতে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের ক্ষেত্রে দুই হাজার ২০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। সৌদি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আরামকোর মালিকানাধীন কোম্পানি মোটিভা এন্টারপ্রাইজেস জানিয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।

সেই সঙ্গে ২০২৩ সালের মধ্যে আরও এক হাজার ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে কোম্পানিটি। এ বিনিয়োগের ফলে প্রায় আড়াই হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যা ২০৩০ সালের মধ্যে ১২ হাজারে দাঁড়াবে।

সৌদি সফর শেষে ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, ব্রাসেলস, ভ্যাটিকান এবং সিসিলি সফর করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ছাড়াও রয়েছেন তার মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প, জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *