ঢাকা ; ‘অপরাজেয় বাংলা’র ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ (৭৫) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বারডেম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। দীর্ঘদিন তিনি ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
গত ১০ মে রাতে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদকে। সেখানে আইসিইউ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ এস এম আরিফ হাসানের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আব্দুল্লাহ খালিদ সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ১৯৬৯ সালে তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস (বর্তমান চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে চিত্রাঙ্কন বিষয়ে স্নাতক এবং পরে ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিত্রাঙ্কন ও ভাস্কর্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
আব্দুল্লাহ খালিদ তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে। ১৯৭২ সালে সেখানকার প্রভাষক থাকাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর উদ্যোগে কলা ভবনের সামনে নির্মিতব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক অপরাজেয় বাংলার নির্মাণের দায়িত্ব পান। তিনি ১৯৭৩ সালে ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ শুরু করেন এবং ১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর নির্মাণকাজ শেষ করার পর স্থাপনাটির উদ্বোধন করা হয়। তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত ম্যুরাল আবহমান বাংলা এবং ১৯৯৫-৯৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান দপ্তরের সামনে অবস্থিত টেরাকোটার ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। এ ছাড়া তাঁর আরো কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো অঙ্কুর, অঙ্গীকার, ডলফিন এবং মা ও শিশু।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খালিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।