এত কম রান নিয়েও ম্যাচে টিকে থাকতে হলে বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরু এনে দিতে হতো আয়ারল্যান্ড বোলারদের। কিন্তু তামিম-সৌম্যর ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি আইরিশদের সেই আশার সমাধি বানিয়ে দিল। তামিম সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে ফিরে যান। ততক্ষণে ম্যাচ বাংলাদেশের বাকি ব্যাটসম্যানদের জন্য ছিল ব্যাটিং অনুশীলনের।
সবচেয়ে বড় সুযোগটা ছিল ০ ও ১ রান করে আগের দুই ম্যাচে আউট হওয়া সাব্বির রহমানের জন্য। সাব্বির দেখেশুনে শুরু করে শেষ পর্যন্ত নিজের ছন্দে ফিরে ৩৪ বলে ৩৫ করে আউট হয়েছেন অহেতুক শটেই। জয় থেকে বাংলাদেশ তখন মাত্র ১১ রান দূরে।
বাকিটা সময় নিরাপদে পার করে দিলেন সৌম্য ও মুশফিক। ৬৮ বলের ইনিংসটায় ১০টি চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন সৌম্য। এমন আক্রমণাত্মক এক ইনিংস, তবু সৌম্য এমন খেললে চোখে মায়াঞ্জন বুলিয়ে দেয় যেন কেউ! এত সুন্দর চোখ ধাঁধানো ইনিংস। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অবশ্য শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজ জিতেছেন। বন্ধুর কাছ থেকে রাতের ডিনারটা সৌম্যর পাওনা হয়ে গেল তাতে।
কিংবা মাশরাফি নিজে পুরো দলকে ‘ট্রিট’টা দিতে পারেন। এই ম্যাচে সবকিছু যে অধিনায়কের মনমতো হয়েছে। বোলিং, শুরুতে উইকেট তুলে নেওয়া, বোলিং ইউনিট পুরো দল হয়ে কাজ করা, সঙ্গে দুর্দান্ত ফিল্ডিং। এরপর ব্যাটিংয়েও ভালো শুরু, ম্যাচের সমাপ্তি ঠিকমতো টেনে দেওয়া।
উপলক্ষের কমতি নেই। তবে এর মধ্যে মোস্তাফিজের সেই জাদুকরী বোলিংয়ের ছোঁয়া খুঁজে পাওয়া বাংলাদেশের জন্য সুখবর।
সিরিজে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ বুধবার, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড : ৪৬.৩ ওভারে ১৮১ (জয়েস ৪৬, নিয়াল ৩০, ডকরেল ২৫, পোর্টারফিল্ড ২২; মোস্তাফিজুর ৪/২৩, মাশরাফি ২/১৮, সানজামুল ২/২২, মোসাদ্দেক ১/২১, সাকিব ১/৩৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১৩, রুবেল ০/৪১)।
বাংলাদেশ : ২৭.১ ওভারে ১৮২/২ (তামিম ৪৭, সৌম্য ৮৭*, সাব্বির ৩৫, মুশফিকুর ৩*; কেভিন ও’ ব্রায়ান ১/২২, ম্যাকার্থি ১/৪২)।
ফল : বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মোস্তাফিজুর রহমান।