রাতুল মন্ডল শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি ঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এখন হরিষে বিষাদ। প্রথম জেব্রা শাবকের জন্মের আনন্দের রেশ না কাটতেই নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। বুধবার দুপুরে দু’টি আফ্রিকান জিরাফের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পার্ক ও আশপাশ এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অনেক টাই নির্বাক হয়ে পড়েছেন পার্কের কর্মকর্তা কর্মচারী গন।
পার্ক সূত্রে জানাযায় গত ১৪ মে পার্কে জন্ম নেয় প্রথম জেব্রা শাবকের । নতুত শাবকের জন্মে পার্ক কতৃপক্ষ ছাড়া ও আনন্দিত হয়ে উঠেন আগত দর্শনার্থীরা। আনন্দের রেশ না কাটতেই নেমে আসে বিষাদের ছায়া।
পার্কের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ সাহাবদ্দিন বলেন ১৫ মে বিকেল পাঁচটার দিকে আফ্রিকান সাফারিতে একটি জিরাফ শুয়ে থাকতে দেখেন। অল্প সময়ের মধ্যে এটিকে অসুস্থ্য দেখায় । তাৎক্ষনিক পার্কের পি.ডি সহ মেডিকেল টিমকে খবর দেয়া হয়। সাথে সাথে চিকিৎসক টিম এসে জিরাটির চিৎিসা শুরু করেন। রাতভর চিকিৎসার পর সকালে এটিকে সামান্য সুস্থ্য দেখায়।
সকাল অন্য একটি জিরাফকে ও একই ভাবে শুয়ে থাকতে দেখেন। চিকিৎসক দল তাকেও চিকিৎসা দিতে থাকে। এরই মধ্যে দু’টি জিরাফের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। চিকিৎসক দলের অপ্রানান্ত চেষ্টার পরও রক্ষাকরতে পারেনি জিরাফ দু’টিকে। সকাল পৌনে নয়টার দিকে একটি জিরাফের মৃত্যু হয়। দুপুর সাড়ে বারটার দিকে মারা যায় অপর জিরাফটিও।
সূত্রমতে সাফারি পার্কে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে আফ্রিকা থেকে দশটি জিরাফ আনা হয়। এদের বয়স ৫ থেকে ৬ বছর । দুটি জিরাফে আকশ্মিক মৃত্যুতে পার্ক কতৃপক্ষ রয়েছেন চড়ম উৎকন্টায়। জিরাফ অসুস্থ্য হবার পর থেকে আফ্রিকান সাফারিতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জোড়দার করা হয়েছে পার্কের নিরাপত্তা।
জিরাফ অসুস্থ্য ও মারা যাওয়ার বিষয়টি কতৃপক্ষ অনেক টাই চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরনারী মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর. ডা. আবদুর রহমানের নেতেৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম জিরাফ দ’ুটির চিকিৎসা করেন।
জিরাফ দু’টি মারা যাবার পর বেলা দু’টার দিকে পার্কের ভেতর ডা. আবদুর রহমানের নেতৃত্বে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ সাহাবদ্দিন বলেন পার্কের ভিতরেই জিরাফ দ’ুটিকে মাটি চাপা দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক সামসুল আজম বলেন জিরাফ মরু ভূমির প্রাণী। কি কারণে প্রানী দু’টি হঠাৎ অসুস্থ্য হল তা বলা কঠিন। আমরা রাত ভর চেস্টা করেছি। কিন্তু জিরাফ দু’টিকে বাঁচানো গেলনা। ময়নাতদন্ত কারী দল প্রাণী দু’টির সকল ধরণের আলামত সংগ্রহ করেছেন । পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে মৃত্যুর কারন নিশ্চিত করে বলা যাবে। তিনি বলেন এখন আমাদের বড় দায়ীত্ব বাকী জিরাফ গুলোকে নিরাপদে সুস্থ্য রাখা।