রাতুল মন্ডল শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিনিধি: নষ্ট রাজনীতির কারনে জনগণ সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়িত। সরকারি কর্মকর্তারাও এ রাজনীতির শিকার বলেই সাধারণ মানুষ তাদের কাছ থেকে সঠিক বিচারিক সুবিধা পায় না।
স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে চলায় তাদের কি কাজ সেটিই ভুলে যায়। আর এই বিচারহীনতা সংস্কৃতিকে জীবন দিয়ে প্রতিবাদ করলেন ওই বাবা-মেয়ে। গতকাল দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের গোসিংগার কর্ণপুর (ছিটপাড়া) গ্রামে স্বামী সন্তান হারানো হালিমা বেগমকে দেখতে এসে এসব কথা বলেন লেখক ও গবেষক প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা, পুলিশ বাহীনির অসহায়দের প্রতি আইন প্রয়োগে অনাস্থা ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব অবহেলার কারনে হালিমার স্বামী হযরত আলী ও তার মেয়ে আয়েশার মত এমন শত শত ঘটনার জন্ম নেয়। রাজনীতির নোংরা কৌশলে এমন অপরাধীরা গাঁ ডাকা দিয়ে থাকে। এরপর কিছু দিন যেতেই হালিমারমত মায়েদের কান্না দেখার কেউ থাকে না। ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওয়াতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির করে পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন খুব অল্প সমেয়ের মধ্যে জমা দিয়ে জাতির কাছে তাদের স্বচ্ছতা প্রমান করাও দাবি করেন তিনি।
এসময় তার সাথে ছিলেন, কমিনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন পিন্স, নাগরিক উদ্দ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ।
এর আগে গত পহেলা মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল ইসলাম স্বামী মেয়ে হারানো হালিমার বাড়িতে এসে আইনগত সহয়তাসহ সকল বিষয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিস্তুতি দিয়েছিলেন। এরপরেই পুলিশের সদর দফতরের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এক সপ্তাহ পরেই প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা থাকলেও পরে আবার তদন্তের সময় বাড়ানো হয়।
প্রসঙ্গ: নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিচার না পেয়ে চাপা অভিমান আর ক্ষোভের আগুনে দগ্ধ হয়ে গত ২৯ এপ্রিল সকালে মেয়ে আয়েশাকে নিয়ে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা ট্রেনের নিচে আত্মাহুতি দেন বাবা হযরত আলী। আয়েশা স্থানীয় হেরাপটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।