সালমান বিন বিলাল, জৈন্তাপুর থেকে :: ১৭ মে ওমান দেশে ফেরার কথা ছিলো জৈন্তাপুরের হানিফ আহমদ (৩৫)। হানিফ আহমদ মে মাসের সেই ২৭তারিখেই বাড়ীতে ফিরলেন তবে জীবিত নয় মৃত লাশ হয়ে।
১৭/০৫/২০১৭ বুধবার বিকেলে লাশ নিজ গ্রামে আনা হয়। নিহত হানিফ আহমদ জৈন্তাপুর উপজেলার ৫ নং ফতেপুর ইউনিয়নের হেমু দত্তপাড়া গ্রামের লিয়াকত আলীর বড় ছেলে। প্রায় দু বছর ধরে তিনি ওমানের সালালায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
তিনি আজ ১৭ মে দেশে ফেরার কথা ছিলো। তবে তার আর জীবন্ত হয়ে দেশে ফেরার সপ্ন পুরন হলো না। গত ৭ মে ওমানে ভবন নির্মাণ কাজে গিয়ে হঠাৎ ভবনের উপর থেকে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তিনি ।
লাশ গ্রামে এলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আশপাশের গ্রামের অসংখ্য মানুষ এসে ভিড় জমায় নিহত হানিফের লাশ দেখতে বাড়িতে।
নিহতের মা আসমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ও মারা যাওয়ার আগের রাতেও ফোনে আমার সঙ্গে কথা হয়। তখন হানিফ দেশে আসার কথা বলে। আমি হানিফকে তাড়াতাড়ি দেশে চলে আসতে বলি।
হানিফের ছোট ভাই বলেন, হানিফ ভাই শবেবরাতের পর দেশে আসার কথা ছিলো তিনি যে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরবে তা আমাদের জানা ছিলো না।
আজ বিদেশ থেকে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন হানিফ। গত মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০ মিনিটে ওমানের সালালায় প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়, আজ বাদ এশা দারুল উলুম হেমু মাদ্রাসা মাঠে শেষ জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।