নারায়ণগঞ্জ; আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের চার কর্মীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ২৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কামরুন নাহার এ রায় দেন।
এই চারজন হলেন আড়াইহাজার উপজেলার জালাকান্দি এলাকার বাবেক এবং তাঁর তিন স্বজন বাদল, ওমর ফারুক ও কবীর।
রায় ঘোষণার সময় ১৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি জাসমিন আহম্মেদ বলেন, ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ২৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এটি একটি যুগান্তকারী রায়।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নিহত বাবেকের ভাই আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর পর এই মামলার রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। রায় দ্রুত কার্যকরে সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’
তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী খোরশেদ আলম মোল্লা। তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ১২ মার্চ সকালে আড়াইহাজার উপজেলার জালাকান্দি এলাকার বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ কর্মী বাবেক ও তাঁর তিন স্বজনকে তৎকালীন আড়াইহাজার থানা বিএনপির সহসভাপতি আবুল বাশারের নেতৃত্বে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত বাবেকের বাবা আজগর আলী বাদী হয়ে আবুল বাশারকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০২ সালে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। সাক্ষী করা হয় ২১ জনকে। এই সাক্ষীদের মধ্যে ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলামকে সোনার কোটপিন পরিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়।