ঢাকা; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের সামনে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের কাওরান বাজার অংশের উদ্বোধন করেছেন।
আজ তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে সোনারগাঁও লেভেল ক্রসিং হয়ে মগবাজার হলিফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত এ প্যাকেজের ৪৫০ মিটার অংশের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের আগেই মৌচাক অংশের কাজ শেষ হবে। ফ্লাইওভারটি পুরোপুরি চালু হলে নগরীর যানজট অনেকাংশে লাঘব হবে। তিনি বলেন, যানজট মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
উদ্বোধনকালে অন্যান্যের মধ্যে – স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ২০১১ থেকে ২০১৩ মেয়াদে ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকায় ডিপিপি অনুমোদন হয়। পরবর্তীতে সংশোধিত ডিপিপিতে জানুয়ারী’ ২০১১ হতে জুন’ ২০১৭ পর্যন্ত মেয়াদে ১২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় অনুমোদিত হয়।
২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে ফ্লাইওভারের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার ঢাকা শহরের স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানে (এসটিপি) অন্তর্ভূক্ত একটি প্রকল্প। দ্রুত বাস্তবায়নের সুবিধার্থে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পটিকে ৩টি প্যাকেজে ভাগ করা হয়। তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে সোনারগাঁও লেভেল ক্রসিং হয়ে মগবাজার হলিফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত একটি প্যাকেজ এবং শান্তিনগর থেকে মালিবাগ, রাজারবাগ, মৌচাক হয়ে রামপুরা পর্যন্ত ও বাংলামটর থেকে মগবাজার হয়ে মৌচাক পর্যন্ত অপর দুটি প্যাকেজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পটি সোনারগাঁও, মগবাজার ও মালিবাগ রেলক্রসিং এবং সাতরাস্তা, এফডিসি, মগবাজার, ওয়ারলেস গেইট, মৌচাক, মালিবাগ, রামপুরা ও শান্তিনগর মোড় অতিক্রম করেছে। ফ্লাইওভারটির মোট দৈর্ঘ্যরে ৮৭০০ মিটারের মধ্যে তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে হলিফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত ২ দশমিক ১ কি: মি: গত বছরের ৩০ মার্চ এবং মগবাজার মোড় হয়ে ওয়্যারলেস পর্যন্ত ১ কি: মি: একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং সৌদি ফান্ড ফর ডেভলপমেন্ট (এসএফডি) ও ওপিইসি ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ওএফআইডি) এর যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।