এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, লালমনিরহাটে গোপন বৈঠক করার সময় জিহাদি বই, পেট্রোল ভর্তি বোতলসহ ৭ শিবির নেতাকে আটক করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার(১৬ মে) ভোরে লালমনিরহাট শহরের শেখ রাসেল শিশুপার্কের পিছন থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে ও টংভাঙ্গা ইউনিয়নের শিবিরের ওয়ার্ড সভাপতি পাটগ্রাম সরকারী কলেজের অনার্সের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম (২০), পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ইউনিয়নের আজিজার রহমানের ছেলে লালমনিরহাট সরকারী কলেজের অনার্সের ছাত্র ও শিবিরের কলেজ শাখার সাহিত্য সম্পাদক সফিউল আলম (২১), হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের রহমান আলীর ছেলে ও একই কলেজের অনার্সের ছাত্র ও কলেজ শাখার সভাপতি নবিনুর ইসলাম (২১), রংপুর জেলার পীরগাছা থানার নুর হোসেনের ছেলে একই কলেজের অনার্সের ছাত্র ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের কলেজ শাখার সভাপতি মমিনুল ইসলাম (২২), কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার খোকা মিয়ার ছেলে একই কলেজের অনার্সের ছাত্র ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের কলেজ শাখার সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম (২৩), আদিতমারী উপজেলার খাতাপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে একই কলেজের এইচএসসির ছাত্র ও লালমনিরহাট পশ্চিমের সেক্রেটারী আব্দুর রহিম (১৯) এবং হাতীবান্ধা উপজেলার বেজগ্রাম এলাকার তফিজ উদ্দিনের ছেলে রংপুর কারমাইকেল কলেজের ছাত্র টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ার্ড সভাপতি গোলাম আজম (২২)। এরা সবাই বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও সম্পাদক। সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে বড় ধরনের নাশকতা চালানোর জন্য ওই পার্কে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিল ২০/২৫ জন শিবির নেতা কর্মী।
এমন একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে শেখ রাসেল শিশু পার্কের পিছন থেকে সাত জন শিবির নেতাকে আটক করে। বাকীরা পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮ বোতল পেট্রোল, জিহাদি বই ও দিয়াশলাই উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেল ৫টার দিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতরা চলন্ত বাসে পেট্রোল ছুড়ে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।