হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের (লক্ষীপ্রসাদ-রুপচেং) এর নির্বাচিত ইউপি সদস্য গোলাম সোবহানী ময়না (৫৫) লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের রিক্সা চালক শুক্কুরের বাড়ীতে অনৈতিক কর্মকান্ড করার প্রাক্কালে ১৪ মে রবিবার রাত
সাড়ে ১০টায় জনতা অাটক করে পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেয়৷
খবর পেয়ে শত শত জনতা এক নজর লম্পট ইউপি সদস্যকে দেখার জন্য লক্ষীপ্রসাদ গ্রামে ভিড় জমায়৷ পরে এলাকাবাসী লম্পট ইউপি সদস্য গোলাম সুবহানী ময়না কে পুলিশের হাতে তুলে দেয়৷ জৈন্তাপুর মডেল থানা কাষ্টুরিতে থাকাঅবস্থায় লম্পট ইউপি সদস্যকে ছাড়িয়ে নিতে একটি পক্ষ জোরচেষ্টা চালাচ্ছে বলে এলাকাবাসী দাবী করছে৷
এদিকে ফেসবুকসহ সব বিভিন্ন গন মাধ্যমে নানা মন্তব্য সহ ইউপি সদস্যের শাস্তি দাবী করছেন এলাকাবাসীসহ সচেতন জনতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্ রুপচেং গ্রামের মৃত মরম আলী মুন্সির ছেলে গোলাম সোবহানী ময়না (৫৫)। তিনি কিছুদিন ধরে একই ওয়ার্ডের লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের জনৈক এক প্রবাসীর স্ত্রী (২১ বছর) কে উত্যক্ত করে আসছিলে। রবিবার দিবাগত রাতে ওই প্রবাসীর স্ত্রী বাবার বাড়ী (রিক্সা চালক শুক্কুরের) ছিলেন।
বাড়িতে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন গোলাম সোবহানী ময়না।
এসময় রূপসী বেগমের আর্তচিৎকারে বাড়ির অন্যান্য লোকজন ছুটে এসে ইউপি সদস্য গোলাম সোবহানী ময়নাকে আটক করেন। খবর পেয়ে জৈন্তাপুর থানার এসআই মোফাজ্জলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে গোলাম সোবহানী ময়নাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই নির্যাতিতা বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে জৈন্তাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে (নং-৯/১৫/৫/২০১৭)। পরে বিকেল ৫টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ইউপি সদস্য গোলাম সোবহানীকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
জৈন্তাপুর থানার ওসি সফিউল কবির বলেন, ‘নির্যাতিতার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। পরে গোলাম সোবহানীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’