ব্ল্যাকমেইল করে সাফাতকে বিয়ে করেছিল পিয়াসা

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

65582_f2

 

ঢাকা; দিলদার আহমেদ সেলিম। বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার সাফাত আহমেদের পিতা। পুত্রের বিপথগামিতার জন্য তাকে দায়ী করেছেন তার সাবেক পুত্রবধূ মডেল পিয়াসা। পিয়াসার এসব অভিযোগের মূলে রয়েছে ‘ষড়যন্ত্র’ এমনটিই দাবি করেছেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম। তিনি জানান, ব্ল্যাকমেইল করে তার ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন পিয়াসা। সেই বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ার কারণে এখন নানা ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।
এ নিয়ে  কথা বলেন দিলদার আহমেদ সেলিম। সেলিম বলেন, পৃথিবীর কোনো বাপ কি ছেলেকে বিপথগামী করতে পারে। হাজার মেয়ে নিয়ে ঘুরবা- এরকম কথা কাল্পনিক। আমি কেন ছেলের অপকর্মে প্রশ্রয় দেব। কথা হলো ভাই, পৃথিবীতে যারা বাবা আছেন সবাই সন্তানের মঙ্গল চান। অন্য বাবারা যদি সন্তানের অমঙ্গল চান না- আমি কেন চাইবো। আমি তো বাবা। আমার সন্তান বিপথগামী হোক, আমি তা কখনো চাইনি। আল্লাহ আমাকে টাকা দিয়েছেন, মান-সম্মান দিয়েছেন। কোনো পিতাই ছেলের অপকর্ম প্রশ্রয় দিতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২৮শে মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি জানি না সেদিন কি ঘটেছিল।
ওই মেয়ে (পিয়াসা) বলে আমার ছেলে নাকি বিয়ের আগেই খারাপ ছিল। ছেলের বয়স ২৪ আর ওই মেয়ের বয়স ৩৬ বছর। ছেলে তো ২৩ বছর ৫ মাস আমার কাছেই ছিল। তখন তো কোনো অভিযোগ আসেনি। এই ছয়-সাত মাসে সে আমার ছেলেকে ভালো করে দিলো। আসলে ওই মেয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। এটা এখন স্পষ্ট।
সাফাত-পিয়াসার বিয়ে সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে তারা বিয়ে করে এটা পরে জেনেছি। আমি জানতাম না এই মেয়েকে সাফাত বিয়ে করেছে। ছেলেটা ব্ল্যাকমেইলের শিকার। ব্ল্যাকমেইল করে সাফাতকে বিয়ে করেছে সে। বিয়েটা গোপন রাখা হয়েছিলো। দুই বছর পর আমি জেনেছি। জানার পরই ছেলেটা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কয়েক মাস ওই মেয়ের সঙ্গে ছিল।
এই বিয়েকে কেন্দ্র করে পিতা-পুত্রের পাল্টাপাল্টি জিডি হয়েছিলো থানায়। এ প্রসঙ্গে দিলদার আহমেদ সেলিম বলেন, হ্যাঁ এটা সত্য। বিয়ের বিষয়টি জানার পর আমি জিডি করেছি। এই মেয়ে আমার এবং আমার পরিবারের ক্ষতি করতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই জিডি করেছি। কারণ আমি জানি আমার ছেলে শিকার হয়েছে। ছেলেকে বাবার বিরুদ্ধে লাগানোর চেষ্টা করেছিলো। শেষ পর্যন্ত আমার ছেলে তা বুঝতে পেরেছে। ছেলে স্বেচ্ছায় ডিভোর্স দিয়েছে। এখানে আমার কোনো হাত নেই।
নিজের সম্পর্কে প্রকাশিত বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, হোটেলে মদ ও নারী নিয়ে ফুর্তি করার বিষয়ে যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠছে তা ডাহা মিথ্যা। এরকম কোনো অভিযোগ যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে আমি যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব। এরকম হলে আমি মনে করি আমার আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়া উচিত।
আপন জুয়েলার্সের শোরুমে অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের উপর পাঁচ লাখ লোকের পরিবার নির্ভরশীল। আল্লাহ তাদের বাঁচায়। শুল্ক গোয়েন্দারা তদন্ত করেছে। আমাদের সব কাগজপত্র আছে। কোনো অসুবিধা নেই। তারা ডেকেছে আমরা যাবো। কাগজপত্র রেডি করতেছি। নিশ্চয়ই আমরা ন্যায় বিচার পাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *