রাতুল মন্ডল শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ বিচার বঞ্চিত হয়ে ট্রেনের নিচে বাবা-মেয়ের আত্মাহুতির দু’সপ্তা পার হলেও গ্রেফতার হয়নি ফারুক সহ মূল আসামীরা। দায়ীত্ব অবহেলার দায়ে হাজতে রয়েছন ইউপি সদস্য আবুল হোসেন। ঘুমিয়ে দিন কাটাচ্ছে নিহতের স্ত্রী হালিমা। বাড়ীর আঙ্গিনায় চলছে রাতদিন নিরাপত্তা কর্র্মীদের পাহাড়া।
সরেজমিনে দেখা যায় ২৯ এপ্রিল হযরত আলী তার পালিত কন্যা আয়েশকে নিয়ে দ্রুত গামী ট্রেনের নিচে ঝাপদিয়ে আতœহত্যা করে। বিচার বঞ্চিত হয়ে বাবা-মেয়ের আতœহননের খবরে তোলপাড় সৃষ্টি হয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঘটনাস্থল পরিদর্শণে আসে বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থা, পুলিশের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত দল।
প্রশাসনসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ সহায়তা ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেন নিহতের পরিবারের একমাত্র সদস্য হালিমার দিকে।
শ্রীপুর থানা পুলিশ হালিমার নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনি পুলিশী পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়। পালা করে পাহাড়া দিচ্ছে গ্রাম পুলিশের দলও। ঘটনার একদিন পর হালিমা বাদী হয়ে কমলাপুর রেলওয়ে থানায় আতœহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা নং ১৮(৪)১৭ দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে প্রধান অভিযোক্ত ফারুক ও তার সকল সহযোগীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। দু’সপ্তাহ পার হলেও এখনো গ্রেফতার হয়নি ছয় আসামী।
সুত্রমতে রেলওয়ে থানায় মামলা হওয়ায় মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করবে রেলওয়ে পুলিশ। অভিযোক্তদের দীর্ঘ সময়েও রেলওয়ে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। হালিমার স্বজনরা জানান প্রধান আসামী ফারুক সহ অন্যরা গ্রেফতার না হওয়ায় অনেকটাই আতংকে আছেন হালিমা।
শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে দেয়া হচ্ছে ভরণ পোষণ । শ্রীপুর খানা পুলিশ দিচ্ছে হালিমার পরিবারের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা। কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াছিন ফারুক জানান আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। ঘন ঘন স্তান পরিবর্তন করায় গ্রেফতার অভিযান বিলম্বিত হচ্ছে।
#