গাজীপুর অফিস; কাপাসিয়া উপজেলার ফকির সাহাবুদ্দীন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর জিপিএ ফাইভ (এ প্লাস) পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তামান্না বেগম। তার ইচ্ছা সামান্য নার্স হওয়ার।
মাত্র দেড় বছর বয়সে মা এমিলি বেগমের সাথে পিতা তাইজউদ্দীনের তালাক হয়ে যায়। তারপর পিতা আর মেয়ে তামান্নার খোঁজ নেয়নি একদিনের জন্যও। তাইজউদ্দীন উপজেলার মৈশন গ্রামের বাসিন্দা। এমিলি বেগম পৈত্রিক বাড়ি দিগধায় থেকে পরের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে সামান্য উপার্জনের টাকায় মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন। মেয়ের জন্য টিউটর বা অন্য কোন সুযোগ করে দিতে পারেননি।
তামান্নার রোল নম্বর ১২৪৪৮২ ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৪১০৮৫৮৯৮৪। তামান্না ও তার মায়ের ব্যবহার করার মতো কোন মোবাইল ফোন নেই। প্রতিবেশি যুবক রাহাত মাহমুদ পলিনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ০১৫২১৪১৬৯৫৫ যোগাযোগ করে তামান্নাকে বিত্তবান বা শিক্ষানুরাগী কেউ আর্থিকভাবে সহায়তা করতে চাইলে তামান্না তা গ্রহন করতে আগ্রহী। তার পড়াশোনার ভাল কোন সুযোগ করে দিতে চাইলেও যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে মা ও মেয়ে।
তামান্না জানিয়েছেন যদি তেমন কোন সযুোগ না হয় তাহলে নিতান্ত নার্সিং পড়ে মানব সেবায় নিজেকে যুক্ত করতে চায় সে। কিন্তু দারিদ্রতাার কষাঘাতে আর ইচ্ছা মিলিয়ে যাবে কিনাওই সংশয়ও রয়েছে তার।
উল্লেখ্য গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর তামান্নাই প্রথম ওই স্কুল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।