ঢাকা; ফ্রান্সের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রন ও তার স্ত্রী ব্রিজিতের বয়সের ফারাক শুনে অনেকেই আঁতকে উঠেছিলেন। ব্রিজিতের চেয়ে ম্যাক্রন ২৫ বছরের ছোট। সেই একই রকম ঘটনার জন্ম হতে যাচ্ছে এবার বৃটেনে। সেখানে কনজারভেটিভ দল থেকে নির্বাচিত এমপি কেভিন ফস্টার। তার বয়স ৩৮ বছর। কিন্তু তিনি আগামী ১০ই জুন বিয়ে করতে যাচ্ছেন তার থেকে ২৮ বছরের বড় হ্যাজেল নুনান (৬৬)কে। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ঘোষিত জাতীয় নির্বাচনের দু’দিন পরেই এ বিয়ে করতে
যাচ্ছেন তারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে নিয়ে বৃটিশ মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। তাদের এমন অসম বিয়ে নিয়ে ফরাসি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রন ও ব্রিজিতের প্রেম, বিয়ের সঙ্গে তুলনা করছেন অনেকে। কেভিন ও নুনান বলেছেন, তাদের প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স কোনো ব্যবধান নয়। আসল কথা হলো তারা দুজনে একে অন্যকে ভালোবাসেন। কভেন্ট্রিতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ২০০০ সালে প্রথম তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। ওই সময় কাউন্সিল নির্বাচনে লড়াই করছিলেন হ্যাজেল নুনান। সেই সাক্ষাতের পর তাদের মধ্যে আস্তে আস্তে বেড়ে উঠতে থাকে প্রেম। সেই প্রেমই পরিণতি পেতে যাচ্ছে আগামী মাসে। বিয়ে নিয়ে যুবতী মেয়েরা যেমন প্রস্তুতি নিতে থাকেন, তাদের মনের মধ্যে ভাসতে থাকে নানা পরিকল্পনা, একই রকম হ্যাজেল নুনানের মধ্যেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরই মধ্যে তার হাতে পরিয়ে দেয়া হয়েছে এনগেজমেন্টের আংটি। আহামরি কিছু নয় তা। সাধারণ স্বর্ণ আর তার ওপর বসানো ছোট্ট ছোট্ট হীরা। এর অর্থমূল্য খুব বেশি নয়। হ্যাজেল নুনান বলেছেন, এ উপহারের সঙ্গে মিশে আছে আবেগ। তার মূল্য অসীম। তাদের মধ্যকার এ প্রেমের কাহিনী জানেন কেভিন ফস্টারের মা লিন্ডা। তাই তিনিই তিন বছর আগে হ্যাজেল নুনানকে পরিয়ে দিয়েছেন ওই এনগেজমেন্টের আংটি। এর মধ্য দিয়ে নুনানের সঙ্গে ফস্টারের সম্পর্ককে পাকা করে রেখেছেন লিন্ডা। এ ঘটনায় অনেক আলোচনা। কিন্তু বিষয়টি প্রাপ্তবয়স্ক এ দুজনের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন লিন্ডা। তাই কেভিন ফস্টার বলেন, হ্যাজেল নুনান অনেক বেশি বয়সী এ বিষয়টি আমি বাস্তব অর্থেই কখনো ভাবি নি। প্রথমে আমাদের যখন সাক্ষাৎ হলো তারপর থেকে আমরা বন্ধু হয়ে গেলাম। রাজনৈতিক সহকর্মীও। আমরা একই জিনিস পছন্দ করি। তারপর থেকে আমরা একসঙ্গেই চলছি। আমরা একে অন্যের খুব কাছে রয়েছি। হ্যাজেল নুনান একই সঙ্গে আমার প্রেমিকা ও বেস্ট ফ্রেন্ড। একই রকম কথা বলেন হ্যাজেল নুনান। তার কথায়, আমরা একে অন্যের প্রেমে পড়েছি। একজন অন্যজনের সাহচর্য উপভোগ করি। ২০০০ সালের সাক্ষাতের পর তাদের মধ্যে যে প্রেম গড়ে উঠেছে সে বিষয়টি বাইরের মানুষের চোখে পড়েছে। ওই সময় হ্যাজেল নুনান বিবাহিত ছিলেন। তার বয়স তখন ৪৮ বছর। তার ছিল দুটি সন্তান। তারা বড় হয়ে গেছে তখন। ২০১০ সালে দুজনে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। হ্যাজেল নুনান নির্বাচন করেন কভেন্ট্রি নর্থ-ইস্ট থেকে। কেভিন কভেন্ট্রি সাউথ থেকে, যদিও কেউই ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন নি। এর সাত বছর আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে হ্যাজেল নুনানের। তার সাবেক স্বামী মারা যান। এ সময়ই তাদের ঘনিষ্ঠতা তীব্র থেকে তীব্র হতে থাকে। কেভিন ফস্টার বলেন, হ্যাজেল ও আমি একত্রে বহু সময় কাটাতে থাকি। ২০১০ সালের শেষের দিকে এসে তাদেরকে লোকজন ‘কাপল’ বা দম্পতি হিসেবে আখ্যায়িত করা শুরু করে। কেভিন বলেন, অনেক দিন পর্যন্ত মানুষজনকে, পরিবারের ঘনিষ্ঠদের আমি বলি নি যে, আমরা একত্রে আছি। কারণ, সমাজের প্রতিক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে আমাদের মাঝে ছিল উদ্বেগ। হ্যাজেল নুনান বলেন, আমার মনে আছে ২০১১ সালের কথা। তখন কভেন্ট্রির বিশপের কাছ থেকে একটি আমন্ত্রণ পাই। তাতে লেখা ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কেভিন ফস্টার’।
যাচ্ছেন তারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে নিয়ে বৃটিশ মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। তাদের এমন অসম বিয়ে নিয়ে ফরাসি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রন ও ব্রিজিতের প্রেম, বিয়ের সঙ্গে তুলনা করছেন অনেকে। কেভিন ও নুনান বলেছেন, তাদের প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স কোনো ব্যবধান নয়। আসল কথা হলো তারা দুজনে একে অন্যকে ভালোবাসেন। কভেন্ট্রিতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ২০০০ সালে প্রথম তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। ওই সময় কাউন্সিল নির্বাচনে লড়াই করছিলেন হ্যাজেল নুনান। সেই সাক্ষাতের পর তাদের মধ্যে আস্তে আস্তে বেড়ে উঠতে থাকে প্রেম। সেই প্রেমই পরিণতি পেতে যাচ্ছে আগামী মাসে। বিয়ে নিয়ে যুবতী মেয়েরা যেমন প্রস্তুতি নিতে থাকেন, তাদের মনের মধ্যে ভাসতে থাকে নানা পরিকল্পনা, একই রকম হ্যাজেল নুনানের মধ্যেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরই মধ্যে তার হাতে পরিয়ে দেয়া হয়েছে এনগেজমেন্টের আংটি। আহামরি কিছু নয় তা। সাধারণ স্বর্ণ আর তার ওপর বসানো ছোট্ট ছোট্ট হীরা। এর অর্থমূল্য খুব বেশি নয়। হ্যাজেল নুনান বলেছেন, এ উপহারের সঙ্গে মিশে আছে আবেগ। তার মূল্য অসীম। তাদের মধ্যকার এ প্রেমের কাহিনী জানেন কেভিন ফস্টারের মা লিন্ডা। তাই তিনিই তিন বছর আগে হ্যাজেল নুনানকে পরিয়ে দিয়েছেন ওই এনগেজমেন্টের আংটি। এর মধ্য দিয়ে নুনানের সঙ্গে ফস্টারের সম্পর্ককে পাকা করে রেখেছেন লিন্ডা। এ ঘটনায় অনেক আলোচনা। কিন্তু বিষয়টি প্রাপ্তবয়স্ক এ দুজনের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন লিন্ডা। তাই কেভিন ফস্টার বলেন, হ্যাজেল নুনান অনেক বেশি বয়সী এ বিষয়টি আমি বাস্তব অর্থেই কখনো ভাবি নি। প্রথমে আমাদের যখন সাক্ষাৎ হলো তারপর থেকে আমরা বন্ধু হয়ে গেলাম। রাজনৈতিক সহকর্মীও। আমরা একই জিনিস পছন্দ করি। তারপর থেকে আমরা একসঙ্গেই চলছি। আমরা একে অন্যের খুব কাছে রয়েছি। হ্যাজেল নুনান একই সঙ্গে আমার প্রেমিকা ও বেস্ট ফ্রেন্ড। একই রকম কথা বলেন হ্যাজেল নুনান। তার কথায়, আমরা একে অন্যের প্রেমে পড়েছি। একজন অন্যজনের সাহচর্য উপভোগ করি। ২০০০ সালের সাক্ষাতের পর তাদের মধ্যে যে প্রেম গড়ে উঠেছে সে বিষয়টি বাইরের মানুষের চোখে পড়েছে। ওই সময় হ্যাজেল নুনান বিবাহিত ছিলেন। তার বয়স তখন ৪৮ বছর। তার ছিল দুটি সন্তান। তারা বড় হয়ে গেছে তখন। ২০১০ সালে দুজনে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। হ্যাজেল নুনান নির্বাচন করেন কভেন্ট্রি নর্থ-ইস্ট থেকে। কেভিন কভেন্ট্রি সাউথ থেকে, যদিও কেউই ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন নি। এর সাত বছর আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে হ্যাজেল নুনানের। তার সাবেক স্বামী মারা যান। এ সময়ই তাদের ঘনিষ্ঠতা তীব্র থেকে তীব্র হতে থাকে। কেভিন ফস্টার বলেন, হ্যাজেল ও আমি একত্রে বহু সময় কাটাতে থাকি। ২০১০ সালের শেষের দিকে এসে তাদেরকে লোকজন ‘কাপল’ বা দম্পতি হিসেবে আখ্যায়িত করা শুরু করে। কেভিন বলেন, অনেক দিন পর্যন্ত মানুষজনকে, পরিবারের ঘনিষ্ঠদের আমি বলি নি যে, আমরা একত্রে আছি। কারণ, সমাজের প্রতিক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে আমাদের মাঝে ছিল উদ্বেগ। হ্যাজেল নুনান বলেন, আমার মনে আছে ২০১১ সালের কথা। তখন কভেন্ট্রির বিশপের কাছ থেকে একটি আমন্ত্রণ পাই। তাতে লেখা ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কেভিন ফস্টার’।