এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক নারীর (৩০) আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৩ মে) ভোররাত আনুমানিক রাত দেড়টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জেলা স্কুল বড়মাঠের পাশে অবস্থিত (টিসিএন) ঠাকুরগাঁও ক্যাবল নেটওয়ার্ক অফিসে এই আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে।
সাবিনা ইয়াসমিনের বাবা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ও মা আয়েশা বেগম। দুই সন্তানের জননী সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী শাহ্নেওয়াজ বিদেশে থাকেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদরে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল বড়মাঠের পাশে অবস্থিত (টিসিএন) ঠাকুরগাঁও ক্যাবল নেটওয়ার্ক অফিসে দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন সাবিনা ইয়াসমিন। গতকাল শুক্রবার (১২ মে) রাতে স্বামীর সাথে মুঠোফোনে তার পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া হয় তার। এরপর আজ শনিবার ভোররাত আনুমানিক দেড়টায় সাবিনা ইয়াসমিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার সন্তানরা সকালে ঘুম থেকে ওঠে বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে গলার ফাঁস খুলে মরদেহ নিচে নামায়। এরপরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে।
এ বিষয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের বাবা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন,আমি এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানিনা। গতকাল রাতে আমার মেয়ে সাবিনা তার স্বামীর সাথে মুঠোফোনে ঝগড়া করার পর সে গলায় ফাঁস লাগায়।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও থানার ওসি মোঃ শাহীন জানান, তদন্ত করে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী শাহ্নেওয়াজের সাথে মুঠোফোনে ঝগড়া হয়। এই ঝগড়ার জের ধরেই সাবিনা ইয়াসমিন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।