ঢাকা; বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার গ্রেপ্তার আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ‘ঘটনার সত্যতা’ পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, দুই আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।
শুক্রবার সকালে ঢাকায় নিয়ে আসার পর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।
এ মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপ-কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, দুই আসামিকে দুপুরের পর ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবেন তারা।
এদিকে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম-কমিশনার কৃষ্ণপদ জানান, ধর্ষণের মামলাটির তদন্তে তদন্তকারী সংস্থাকে সহায়তা দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে। মামলার বাদীদের প্রতি সংবেদনশীল থেকে আমরা যাতে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারি এজন্য তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্ত কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য মাননীয় কমিশনার গতকাল এই তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করেছেন। মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ক্রাইম) এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন জানিয়ে কৃষ্ণপদ বলেন, ডিবি উত্তরের (গুলশান বিভাগ) উপ-কমিশনার এবং উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপ-কমিশনারকেও রাখা হয়েছে কমিটিতে।
গত ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন ধর্ষণের স্বীকার হওয়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এক পরিচিত ব্যক্তির জন্মদিনের পার্টিতে অংশ নিতে গিয়ে ধর্ষণের স্বীকার হন তারা। বনানীর রেইনট্রি হোটেলের দুটি কক্ষে আটকে রেখে তাদের ধর্ষণ করা হয়।
মামলার এক আসামি সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ। অন্য আসামিরা হলেন নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটে গ্রেপ্তার হন সাফাত ও সাদমান। পুলিশ সদর দপ্তরের একটি বিশেষ দল রাত ৯টার দিকে জালালাবাদের একটি বাড়ি থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। জালালাবাদের একটি বাড়িতে তারা লুকিয়ে ছিলেন