জাহিদ হাসান, লামা, বান্দরবান প্রতিনিধি ॥
পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রতি বছর ৪শত কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। আদায়কৃত চাঁদার টাকা দিয়ে তারা জুম্মু ল্যান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য অবৈধ অস্ত্র ক্রয় করে। সশ¯্র সন্ত্রাসি গ্রুপের যোগ সাজসে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার মানষেই নাগরিক প্রতিনিধি দলের ব্যনারে পঙ্কজ ভট্রাচার্য গং লামায় আসে। পার্বত্য চট্ট্রগ্রামকে বেসামরিকরণের দাবি জানিয়ে নাগরিক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধ করেছে।
পুনরায় পার্বত্য চট্রগ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ¤্রাে সম্প্রদাযের নেতৃবৃন্দ বুধবার লামা বাজারে কুটুমবাড়ি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এ সকল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। নাগরিক প্রতিনিধি দলের ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে আনিত অভিযোগের প্রতিবাদে ¤্রাে নেতৃবৃন্দ পাল্টা এ অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ¤্রাে কল্যান সংসদের সভাপতি মেনরুম ¤্রাে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ¤্রাে কারবারী মেনরুম ¤্রাে, গিলা চন্দ্র ত্রিপুরা, ইয়াংলক ¤্রাে, মংবুশে র্মামা, রনি চন্দ্র ত্রিপুরা, বীর চন্দ্র ত্রিপুরা। এ সময় শতাধিক ¤্রাে, ত্রিপুরা ও র্মামা জনগোষ্ঠির লোকজন উপন্থিত ছিলেন।
¤্রাে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পাহাড়ে ঘোষনা দিয়ে জে.এস.এস, পি.সি.পি ও ইউপিডিএফ অপহরণ, খুন, চাঁদাবাজীসহ সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে একবারও কি পার্বত্য চট্টগ্রামে আপনারা সফর করে সচিত্র প্রতিবেদন আকারে সমাধানের জন্য সরকারের নিকট কোনো সুপারিশ করেছেন? নাকি এখনও ঘুমের ঘরেই রয়েছেন?
নাগরিক প্রতিনিধি দলের সদস্যদের উদ্দেশ্যে ¤্রাে নেতৃবৃন্দরা বলেন, উপজাতি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি মুরুং সম্প্রদায় তাদের দীর্ঘদিনের দাবী দাওয়া নিয়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অবরোধ পালন করেছে। এতে নিরাপত্তাবাহিনীর কোনো সম্পৃক্ততা ছিলনা। তবে নিরাপত্তাবাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জড়িয়ে লাগামহীন মিথ্যাচার মূলক বক্তব্য দিয়ে পাহাড়ের পরিবেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পাহাড়ের কোনো বিষয়ে কথা বলার আগে ত্রিশ হাজার বাঙ্গালী ও উপজাতির খুনের নায়ক শন্তু লারমাকে বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করানোর জন্য সরকারকে বলুন। এতেই বুঝবো আপনারা সত্যিকারের মানবাধিকার কর্মী। ¤্রাে সম্প্রদায়ের আরো দাবি রয়েছে, জে.এস.এস, পি.সি.পি ও ইউপিডিএফ এর মত ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদেরকে র্নিমূল করতে হলে পার্বত্য অঞ্চলে আরো সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।