যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা, এফবিআই এর প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ বলছে, মি. ট্রাম্প অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের স্পষ্ট সুপারিশের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে তদন্ত করছিলেন মি. কোমি। নির্বাচনের আগেও তাকে নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইলের বিষয়ে তদন্তকে কেন্দ্র করে জেমস কোমিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে কংগ্রেসের কাছে দেওয়া বক্তব্যে মি. কোমি ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে খবর বের হয়।
মি. কোমির উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, বিচার বিভাগের সাথে তিনি একমত যে মি. কোমি এফবিআইকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম নন এবং সেখানে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন।
তবে আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, মি. কোমির বরখাস্তের বিষয়ে তাদেরকে আগে থেকে কোনো ইংগিত দেওয়া হয়নি।
মি. কোমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাথে রাশিয়ার যোগাযোগের বিষয়ে একটি তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
মার্কিন রাজনীতিবিষয়ক সংবাদ সংস্থা, পলিটিকোর প্রতিবেদক ড্যানিয়েল লিপম্যান বিবিসিকে বলেন, মি. কোমির পরিবর্তে কে আসবেন, তার ওপরে অনেক কিছুই নির্ভর করছে। ওয়াশিংটনের সবাই এখন ভাবছে, এফবিআইয়ের নতুন পরিচালক কি ট্রাম্পকে জবাবদিহিতার মুখে নিতে পারবেন এবং তার রুশ সম্পর্কের অভিযোগের বিষয়ে কি একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করতে পারবেন? যদি এখন ট্রাম্পের নিজের কোন লোককে বসানো হয়… তাহলে অনেক আমেরিকান এখন এফবিআইকে যতটা অবিশ্বাস করে, তার চেয়ে আরো বেশি করবে।
৫৬ বছর বয়স্ক মি. কোমিকে চার বছর আগে এফবিআই এর পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তার মেয়াদ শেষ হতে আরো ৬ বছর বাকি ছিল।
নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনের কিছুদিন আগে হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল কেলেঙ্কারির বিষয়ে নতুন তথ্য দিয়ে তিনি ব্যাপক আলোচিত হন। যদিও পরবর্তীতে সেটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল না বলে প্রমাণিত হয়। সে সময় ডেমোক্র্যাটরা তার কড়া সমালোচনা করে।
কিছুদিন আগে মিসেস ক্লিনটনও তার পরাজয়ের পেছনে মি. কোমির সেই ভূমিকাকে একটি বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা