গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশে রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। আছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। নারীদের রাজনৈতিক অধিকারে রয়েছে ঘাটতি। এর ফলে বাংলাদেশ রয়েছে উচ্চমাত্রায় সন্ত্রাসের ঝুঁকিতে। এখানে সংঘাত নেই কিন্তু রয়েছে এ ঝুঁকি। এসব কথা বলা হয়েছে গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স ২০১৪-তে। বিশ্বের সন্ত্রাস বিষয়ক এ সূচক প্রকাশ করেছে ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক
অ্যান্ড পিস। বিশ্বের ১২৪টি দেশের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেও তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে ওই সূচকে। এতে বাংলাদেশের অবস্থান ২৩ নম্বরে। সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসের মুখে রয়েছে ইরাক। এর অবস্থান এক নম্বরে। পর্যায়ক্রমে শীর্ষ সন্ত্রাসপ্রবণ দেশের তালিকা সাজানো হয়েছে এতে এক নম্বর থেকে। প্রথম দশটি দেশের মধ্যে এক নম্বরে ইরাক। তারপরে পর্যায়ক্রমে রয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সিরিয়া, ভারত, সোমালিয়া, ইয়েমেন, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড। ওই তালিকায় আলাদা করে ১৩টি দেশকে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এ গ্রুপ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশসহ এসব দেশে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রয়েছে। তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে পর্যাপ্ত ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এ দেশগুলো হলো অ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ, বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কোস্টা রিকা, ইথিওপিয়া, ইরান, ইসরাইল, মালি, মেক্সিকো, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও উগান্ডা। ৯৪ পৃষ্ঠার দীর্ঘ রিপোর্টে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৩ সালের শেষ পর্যন্ত ১৪ বছরে বিশ্বে সন্ত্রাসের ধরন ও প্রবণতা নিয়ে এ রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে এসে বিশ্বে সন্ত্রাসী তৎপরতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২ সালে বিশ্বে সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে ১১১৩৩ জন। ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭৯৫৮-তে। অর্থাৎ ওই এক বছরে সন্ত্রাস বেড়েছে শতকরা ৬১ ভাগ। একই সময়ে যেসব দেশে ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে তার সংখ্যা ১৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪। ২০০০ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে সন্ত্রাসের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ গুণ। গত বছর বিশ্ব শুধু সন্ত্রাসের তীব্রতাই দেখে নি একই সঙ্গে দেখেছে তার দ্রুত বিস্তার।