বিনোদন প্রতিবেদক ; বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন পরাজিত সভাপতি প্রার্থী ওমর সানী। গতকাল রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবরের কাছে লিখিতভাবে আপত্তিপত্র দাখিল করেছেন তিনি। গত শুক্রবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের ৩৬ ঘণ্টার মাথায় আপত্তিপত্র দিয়ে ফল বাতিলের আবেদন জানানো হলো। ওই আবেদনে ওমর সানী বেশ কয়েকটি বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। প্রথম আলোকে নির্বাচন বাতিলের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিতও করেছেন ওমর সানী।
এদিকে আজ সোমবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, ‘প্রথমত তিনি (ওমর সানী) নির্বাচন বাতিলের কোনো আবেদন করতেই পারেন না। বড়জোর ফল পুনরায় গণনার ব্যাপারে আবেদন করতে পারেন। এরপরও তিনি নির্বাচন বাতিলের যে আবেদন করেছেন, তা আপিল বিভাগের কর্মকর্তা যাঁরা আছেন, তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’
মনতাজুর রহমান আকবর এও বলেন, ‘আমরা কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করেছি। ১১ মে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করব। যদি কোনো ভুলভ্রান্তি হয়েও থাকে, তা এরই মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। নির্বাচন বাতিলের আবেদনের মতো তেমন কিছুই হয়নি।’
এদিকে এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী ওমর সানীর স্বাক্ষর করা ওই আবেদনপত্রে ভোটের সংখ্যায় গরমিল দাবি করে তিনি বলেন, ‘গেল শুক্রবার অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট পড়েছে মোট ৫৫৮টি। এর মধ্যে ৮৯টি ভোট বাতিল বলে নির্বাচন বোর্ড প্রকাশ করেছে। মোট ফলাফল অসংগতিপূর্ণ। কেননা, সভাপতি তিনজনের ভোট যোগ করলে মোট ৪৬৯টি ভোট হওয়া উচিত। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে মোট ভোট ৪৫৬টি।’
ফলাফল বাতিলের দাবিতে আপত্তিপত্র প্রসঙ্গে ওমর সানী বলেন, ‘অন্যান্য পদে প্রাপ্ত ভোটের যোগফল কোনোভাবেই বৈধ ব্যালটের সঙ্গে মেলে না।’
সানীর এই আবেদনে ভোট গণনার রাতে (শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে) শাকিব খানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়, ‘সমিতির সভাপতি শাকিব খান পদাধিকার বলে ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন গণনার সময় জোরপূর্বক তাঁকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া—যা কোনোভাবেই কাম্য ছিল না।’
সানী এই নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে বলেন, ‘একটি পক্ষ নিজ স্বার্থে নির্বাচন বোর্ডকে প্রভাবিত করেছে। এমতাবস্থায় এ রকম অসংগতিপূর্ণ ফলাফল বাতিল, তথা নির্বাচন বাতিল করার আবেদন করেছি।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার সারা দিন ভোট গ্রহণ শেষে পরদিন শনিবার ভোরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় মিশা সওদাগরকে। তিনি ২৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওমর সানী পেয়েছেন ১৫৩ ভোট।