ঝিনাইদহে অপারেশন ‘সাটল স্প্লিট’ সমাপ্ত

Slider খুলনা জাতীয়

133249b

 

 

 

 

স্টাফ রিপোর্টার ;  শেষ হয়েছে ঝিনাইদহের সদর উপজেলার নেবুতলার জঙ্গি আস্তানায় পরিচালিত অভিযান ‘অপারেশন সাটল স্প্লিট’। আজ সোমবার সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে শুরু হওয়া এ অভিযান বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সমাপ্ত ঘোষণা করেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদ। এর আগে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ভেতরে প্রবেশ করে একে একে মোট আটটি বোমা নিষ্ক্রিয় করে।

জানা গেছে, সম্প্রতি ঝিনাইদহের সদর উপজেলার নেবুতলায় মৃত শরাফত হোসেনের বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। গত বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে শরাফত হোসেনের দুই ছেলে শামীম (২২), হাসান (৩৫) ও তাদের এক বন্ধুকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। বন্ধুটির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ বন্ধু প্রায় সাত মাস আগে এসে তাদের বাড়িতেই থাকতো। আজ সোমবার সকালে জঙ্গি আস্তানার আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। একইসঙ্গে ২০০ গজের মধ্যে সর্বসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মাইকিং করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়,  প্রায় ২০ বছর আগে মৃত শরাফত আলী সদর উপজেলার কামারকুণ্ডু এলাকা থেকে নেবুতলায় এসে বসবাস শুরু করেন। প্রায় ১০ বছর আগে মারা যান শরাফত হোসেন। শরাফত হোসেনের বড় ছেলে হাসান রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। আর ছোট ছেলে শামীম ঝিনাইদহ পলিটেকনিকে পড়াশোনা করে। শরাফত হোসেনের দুই ছেলে যে জঙ্গিবাদে জড়িত এটা পুলিশের অভিযান দেখেই টের পেয়েছেন তারা।

খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. দিদার আহমেদ রবিবার দুপুরে মহেশপুরের বজরাপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বজরাপুরের আস্তানায় আত্মঘাতী হামলায় দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম, এসআই মুজিরুর রহমান ও ডিএসবির এসআই মহসীন। এরপর রাতে ওই আস্তানার অভিযান সমান্ত ঘোষণা করেন তিনি। ডিআইজি জানান, সদর উপজেলার নেবুতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮টি বোমা, ১টি নাইন এমএম পিস্তল ও ৬টি গ্রেনেড পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল থেকে সদর উপজেলার নেবুতলায় আবারো অভিযান চালানো হবে।

এর আগে ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনেপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন সাউথ প’ বা দক্ষিণের থাবা। প্রায় ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের অভিযানে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে বিস্ফোরক তৈরি রাসায়নিক ভর্তি ২০টি ড্রাম, একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স বোরের পিস্তল, একটা ম্যাগাজিন, সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পাঁচটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে  ‘অপারেশন সাটল স্প্লিট’ সমাপ্ত ঘোষণা পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *