সোহমের গ্যারেজে নতুন গাড়ি। রেঞ্জ রোভার স্পোর্ট। টালিগঞ্জের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি গাড়ি এটা। আর তার মালিক সোহম।
কিছুদিন আগেও তো তার বাহন ছিল মার্সিডিজ এসইউভি? মুচকি হেসে অভিনেতা বললেন, ‘মার্সিডিজের বদলেই এটা কিনেছি। ‘ টালিউডের অভিনেতাদের গাড়ির দামের হিসাব কষলে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে দামি গাড়িটি সোহমের গ্যারেজেই পার্ক করা রয়েছে!
কী বলবেন তিনি? উত্তর এলো, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে যখন স্ট্রাগল করছি, গাড়ির নেশা তখন থেকেই। মার্সিডিজে চড়ার সময়ও স্বপ্ন দেখতাম, একটা ল্যান্ড রোভার কিনব। সেটা শেষ অবধি হয়েই গেল! গাড়িটা কেনার পর সোজা মা কালীর মন্দিরে গিয়েছিলাম। তারপর বাড়ি ফিরেছি। ‘ নতুন গাড়ি নিয়ে কোথাও লং ড্রাইভে গিয়েছেন? ‘আমার আপনজন’ এর প্রচারে আপাতত খুব ব্যস্ত। তাই নতুন গাড়ি নিয়ে সেভাবে কোথাও যাওয়া হয়নি। ওই এদিক-ওদিক করেছি আর কী,’ বললেন সোহম।
এ মুহূর্তে সোহমের গ্যারেজ স্ট্যাটাস?
সোহম : রেঞ্জ রোভারটা আমার কেনা চার নম্বর গাড়ি। এ মুহূর্তে গ্যারেজে রয়েছে শেভ্রলে বিট, শেভ্রলে অ্যাভিও, মহিন্দ্রা এক্সইউভি ৫০০ এবং রেঞ্জ রোভার স্পোর্ট। আপনার তো এসইউভির প্রতি বাড়তি আগ্রহ?
সোহম : একদম! সেডান গাড়ি চড়লে আমার কেন যেন মনে হয়, রাস্তা দিয়ে শুয়ে শুয়ে যাচ্ছি। এসইউভিতে সেটা একেবারেই মনে হয় না।
আপনি নাকি সময় পেলেই লং ড্রাইভে বেরিয়ে পড়েন?
সোহম : হ্যাঁ। নিজেই ড্রাইভ করে শিলিগুড়ি গিয়েছি। এক্সইউভি ৫০০ টা নিয়ে উত্তরবঙ্গের পাহাড়-জঙ্গল চষে ফেলেছি। মন্দারমণি, পুরুলিয়াও গিয়েছি গাড়ি চালিয়ে।
সর্বোচ্চ কত স্পিডে গাড়ি চালিয়েছেন?
সোহম : (একটু ভেবে) দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে চালিয়েছিলাম। ১৬০ কিলোমিটার স্পিডে।
মত্ত অবস্থায় শহরে গাড়ি দুর্ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা। কী বলবেন?
সোহম : প্রথমেই একটা কথা বলতে চাই। আমি যেন যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। যন্ত্র আমাকে নিয়ন্ত্রণ করছে- এমন অবস্থা যেন না হয়। র্যাশ ড্রাইভ করে দুর্ঘটনায় পড়লাম, গুরুতর আহত হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলাম, তখন আমার পরিবার আর কাছের মানুষগুলোর কী হবে? তাদের এই চরম কষ্ট দেওয়ার অধিকার আমার নেই। ড্রাইভিং সিটে বসেই যদি নিজেকে হিরো ভাবতে শুরু করি, তাহলে তো মুশকিল বস- এটা সাধারণ মানুষ থেকে তারকা সকলকেই বুঝতে হবে।
এক নজরে সোহমের নতুন গাড়ি
মডেল : রেঞ্জ রোভার স্পোর্ট
ইঞ্জিন : ২৯৯৩ সিসি
সর্বোচ্চ গতি : ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার
আসন সংখ্যা : ৫
ফুয়েল টাইপ : ডিজেল
ফুয়েল ট্যাঙ্ক ক্যাপাসিটি : ৭৭ লিটার
ট্রান্সমিশন : অটোম্যাটিক
এয়ার ব্যাগের সংখ্যা : ৮
গিয়ার সংখ্যা : ৮
ম্যাক্স পাওয়ার : ২৮৯ বিএইচপি @ ৪০০০ আরপিএম
সিলিন্ডার সংখ্যা : ৬ সিলিন্ডার ভি-শেপ
হুইল : অ্যালয়
ব্রেকিং সিস্টেম : ডিক্স
মাইলেজ : সাড়ে ছয় কিলোমিটার প্রতি লিটার (প্রায়)
সূত্র : এবেলা