নিজস্ব প্রতিবেদক ; এটা কি একজন শিক্ষকের চরিত্র হতে পারে? শিক্ষকের দ্বারা ধর্ষিতা হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল ১৩ বছরের কিশোরী। সেই ধর্ষক শিক্ষককে বাঁচাতে ধর্ষিতার মাকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে চাইলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল! সঙ্গে ফ্রিতে ওই কিশোরীর গর্ভপাত ও তার পড়াশোনারও ব্যবস্থা করার লোভ দেখালেন তিনি। শর্ত শুধু একটাই। তুলে নিতে হবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। পাশাপাশি হুমকিও দেন প্রিন্সিপাল। বলেন, ‘আপনারা মধ্যবিত্ত। কিছুই করতে পারবেন না। অনেক উপর পর্যন্ত আমাদের হাত রয়েছে। ‘ ঘটনাটি ঘটেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।
৫ মাস আগে অভিভাবকের বিক্ষোভে তোলপাড় হয় নেরুলের এমজিএম স্কুলে। স্কুলের শিক্ষক হরিশঙ্কর শুক্লা দিনের পর দিন ছাত্রীদের ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তার পাশবিক অত্যাচারে ১৩ বছরের এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় স্কুল ও প্রিন্সিপাল সবিতা গুলাটিকে শো-কজ নোটিশ পাঠায় সিবিএসই কর্তৃপক্ষ। এরপরই স্কুল পরিচালন কমিটি এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় ও গুলাটিকে বরখাস্ত করে।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, তারা যখন প্রিন্সিপালের কাছে বিচার চেয়েছিলেন, তখন তিনি তাদের সঙ্গে অত্যন্ত রূঢ় ভাষায় কথা বলেন। ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসার পর গুলাটি ধর্ষিতার মাকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা দিতে চেয়ে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করেন বলে অভিযোগ। অভিভাবকরা বলেছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রীদের প্রাপ্তবয়স্কদের জোকস শোনাতেন। বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও প্রিন্সিপাল কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শুক্লার সাহস বেড়ে যায়। এরপর ছাত্রীদের শৌচাগারে ছিটকানি না থাকার সুযোগ নিয়ে তিনি ছাত্রীদের উপর শারীরিক নিগ্রহ চালাতে থাকেন।