আমি তোমাকে আদর করি, ভালবাসি, সন্মান করি, শ্রদ্ধা করি। আমরা ভালবেসেই, ভালবাসার মানুষটিকে মনগড়া নিয়মে বন্ধি করে ফেলি! যেমন,
প্রেমিকঃ- আমি তোমার কোনো কাজিন টাজিন বুজিনা। আমি ছাড়া তোমাকে অনলাইন + ওয়েটিং’এ দেখতে চাই না।
ভাইঃ- পিকনিকে যেতে হবে না, তদের কলেজে খারাপ পুলাপান আছে।
স্বামিঃ- এত উচ্চশিক্ষিতার প্রয়োজন নেই, পড়া/লেখা বাদ, এবার সংসারে মন দাও। এমন অসংখ্য অপযুক্তি দিয়ে বন্ধি করে রাখি আমাদের কাছের বিপরীত লিঙ্গদের। কিন্তু আমরা বন জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়াই এতে সমস্যা বোধ করি না। বুজতে চাই না দিন শেষে নারীরাও মানুষ। বুজিনা প্রেমিকার আমি ছাড়াও তার একটা পৃথিবী আছে। বোনের আমার মতোই সাধ শখ অভিলাষ আছে। স্ত্রীর স্বপ্নো সফলতার সম্ভাবনা আছে। আমরা কি পারিনা তাদের সুস্হস্বাধিনতা উপহার দিতে?
বেগম রোকেয়া একজন নারী, রোকেয়ার পাশে তাঁর দুজন কাছের পুরুষই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন তাঁর বড় ভাই এবং পরে তাঁর সংগ্রামী মানসিকতার সঙ্গী হয়েছিলেন তাঁর স্বামী। তাঁর জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা দু’জন অত্যন্ত কাছের পুরুষই রোকেয়ার সংগ্রামকে উপলব্ধি করতে পেরছিলেন। বুঝতে পেরেছিলেন রোকেয়ার এই সংগ্রাম কেবল নারীর মুক্তির জন্যই নয়, এই সংগ্রাম মানুষের মুক্তির জন্য, সমাজ থেকে অশিক্ষার অন্ধকার দুর করবার জন্য। এই দুইজন পুরুষি তাকে ভালবাসতেন। কই তাকেতো বন্ধি করে রাখেনি? প্রকৃত ভালবাসতো সে দুই পুরুষেরি ছিলো।
আমাদের উপলব্ধিই করতে হবে আপন মানুষ সঙ্গী হলে জীবন চলা সহজ হয়, সংগ্রাম উপভোগ্য হয়, প্রাপ্তি গৌরবের হয়। আমরা আমরা করতে করতে আমাদের কাছের বিপরীত মানুষ গুলোকে ঠকিয়ে যাচ্ছি ভালবাসার মায়ার শিকলে বন্ধি করে!
আমি চোখের পলকে নারীর মুক্তির কথা বলছি না। আমি আমার বোনকে, প্রেমিকা কে, বউকে, দুহিতাকে আমার ইচ্ছা প্রত্যাশা গুলো মতো তাদের ইচ্ছা শখকে মূল্যায়ন করবো। খেয়াল রাখবো আমাদের ভালবাসার মায়ার বাঁধনটা যেন শিকল হয়ে করো জীবনেকে তালা মেরে না দেই।