মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ১৬০০ পেনসিলভেনিয়া এভিনিউতে অবস্থিত ‘হোয়াইট হাউস’। এটি কেবল আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের বাসভবনই নয়, ঐতিহাসিক ভবনও বটে। তবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনেও ভূত-প্রেত বাস করে বলে অনেকের বিশ্বাস।
জানা যায়, এ ভবনটি নির্মাণের পেছনে রয়েছে অনেক করুণ ইতিহাস। ক্রীতদাসদের ব্যবহার করা হয়েছিল এ ভবন নির্মাণে। এছাড়া এ ভবনে বসবাসকারী অনেকেই পরবর্তীতে অপঘাতে মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ডজনখানেক প্রেতাত্দা! এমন বিশ্বাস কেবল ভৌতিক গল্পপ্রিয় সাধারণ আমেরিকানদেরই নয়, হোয়াইট হাউসের একাধিক সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীও নিজেদের এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করেন।
জানা যায়, হোয়াইট হাউসের পুর্ব দিকের একটি কক্ষে প্রায়ই কাজে ব্যস্ত থাকেন হোয়াইট হাউসের প্রথম ফার্স্ট লেডি এবিগেইল অ্যাডামসের ভূত। আবার মরার পরও বাগানে কাজ করে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউসের কর্মচারী ডলি ম্যাডিসন। শুধু তারাই নন, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবরাহাম লিঙ্কন, রুজভেল্ট, হ্যারিসন, রিগ্যান, অ্যান্ড্রু জ্যাকসনসহ আরও অনেকের প্রেতাত্দা এখনো দিব্যি ঘুরে বেড়ায় হোয়াইট হাউসে।
হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন কর্মচারীদের অনেকেই বলেছেন, বাড়িটি সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং এখানকার সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রেতাত্দা দিয়ে ভরা। সাবেক প্রেসিডেন্ট হ্যারিসনের আত্দাটি বিভিন্ন সময় চিলেকোঠার জিনিসপত্র তছনছ করে কী যেন খুঁজত। প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের ভূতকে প্রায়ই তার শয়নকক্ষে দেখা যেত। আবার ফার্স্ট লেডি এবিগেইল অ্যাডামসকে প্রায়ই হলওয়েতে ভাসতে দেখা যেত।
হোয়াইট হাউসে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় প্রেসিডেন্ট আবরাহাম লিঙ্কনের ভূতকে। মিসেস ম্যারি টড লিঙ্কন স্বামীর প্রেসিডেন্সির সময়ই পুত্র উইলিকে হারান। হোয়াইট হাউসের গ্রিন রুমে বসে মৃত পুত্রের সঙ্গে প্ল্যানচেটের মাধ্যমে মাঝেমধ্যে যোগাযোগের চেষ্টা করতেন। স্বামীর গুপ্তহত্যার পরও তিনি একই চেষ্টা করেছেন। পরবর্তীকালে তিনি বোস্টনের এক ভাস্কর ‘মামলার’-এর স্টুডিওতে গিয়েছিলেন। কথিত আছে, এ মামলার মৃত ব্যক্তিদের অশরীরী অস্তিত্বের ছবি পাথরে খোদাই করতে পারত। ম্যারি মামলারকে দিয়ে এমন একটি ছবি খোদাই করিয়েছিলেন। এখানে ছাপা হওয়া ছবিতে ম্যারির কাঁধে যে আবছা হাতের অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে সেটি আবরাহাম লিঙ্কনের প্রেতাত্দার। হোয়াইট হাউসের ভূত কাহিনীতে একটি বিষয় লক্ষণীয়, তা হচ্ছে এখানকার কোনো ভূতই আশ্চর্যজনকভাবে কারও কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করেনি।