জাহিদুল ইসলাম, ডিমলা (নীলফামারী ) প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমারে রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে মানববন্ধন ও কলম বিরতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে ডোমার বাজার রেলঘুন্ডি মোড়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও কলম বিরতী অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্য। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, একুশে টিভি’র জেলা প্রতিনিধি মোঃ আব্দুর রশিদ শাহ, চ্যানেল আই’র জেলা প্রতিনিধি আনোয়ারুল আলম প্রধান, মাই টিভি’র জেলা প্রতিনিধি আজিজুল বুলু ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে ৫ মিনিট কলম ও ক্যামেরা বিরতী পালন করা হয়।
ডোমার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জুলফিকার আলী ভূট্টো’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন,সহ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রঞ্জু , সদস্য আবু হাসান, একরামুল হক লাবু, আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগ, সাইফুল ইসলাম মানিক, ডোমার ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান হিল্লোল, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক রতন, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রুবেল ইসলাম প্রমূখ। মানববন্ধনটির সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ। উল্লেখ্য যে, জেলার ডিমলায় অভিনব কায়দায় জনৈক্য যুগান্তরের বড় জাহিদ ছিনতাইয়ের ঘটনা সাজিয়ে নিজের ছিনতাইয়ের মামলার দায় থেকে রক্ষা পেতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আর এ ঘটনায় গোটা জেলাজুড়ে সাংবাদিকদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ডিমলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে পাথর বালু উত্তোলনের নিয়ন্ত্রক জাহেদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে বড় জাহিদ। মামলাটি ডিমলা থানা পুলিশ শনিবার (৬ মে) নথিভুক্ত করেছে এবং ওই মিথ্যা মামলার বাদি প্রভাবিত করে আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে পূর্ণরায় সাজানো একটি মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টিও হয়েছে।
মামলার সূত্রমতে, দৈনিক মাতৃজগত ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল গ্রামবাংলা নিউজ’র ডিমলা প্রতিনিধি জাহেদুল ইসলাম ওরফে ছোট জাহিদ গত ৩ মে নিজে বাদী হয়ে বড় জাহিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং-৪ তাং ০৩ মে’ ১৭। মামলার আরজিমতে, উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও সামসুদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে কুমলাই নদীতে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন করছিলো। বালু উত্তোলনের এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের জন্য মামলার বাদী তার সহকর্মী আব্দুল কুদ্দুসকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে। ওই সময় অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীরা তাদের নিয়ন্ত্রক হিসেবে এলাকায় পরিচিত বড় জাহিদকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানায়। এরপরই অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়ে সাংবাদিক জাহেদুল ইসলাম ডিমলা থানায় পাথর বালুর নিয়ন্ত্রক জাহেদুল ইসলাম জাহিদ, আনোয়ার ও সামসুদ্দিনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অপরদিকে বাদীকে মিথ্যা ছিনতাইয়ের মামলায় জড়িয়ে জাহেদুল ইসলাম ওরফে পাথর জাহিদ ঘটনার তিন দিন পর ৬ মে থানায় সাংবাদিক জাহিদসহ আরো ৮জন সাংবাদিককে আসামী করে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করেছে। এ প্রসঙ্গে কথা হয় জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নুর আলম সিদ্দিকী দুলালের সাথে। তিনি জানান, জাহেদুল ইসলাম ওরফে বড় জাহিদ শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য এ মিথ্যা বানোয়াট সাজানো ও ভিক্তিহীন মামলা করেছে। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। সেই সাথে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি। জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আল- আমিন ডোমারের মানববন্ধনে বলেন, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে ও দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অন্যান্য উপজেলার ইউনিটির সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে দেশ ব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে। ডোমার রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান হিল্লোল মানববন্ধনে বলেন, আমরা এ ঘটনার তিব্র নিন্দা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোড় দাবী জানাচ্ছি।