নিজস্ব প্রতিবেদক ; পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্র খুন হয়েছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে সহপাঠীদের সাথে বাড়ি ফেরার পথে তার ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত সাকিব হাওলাদার (১৮) কদমতলা গ্রামের মৃত পুলিশ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন এর ছেলে। ভোর ৪টায় আহত ওই ছাত্র ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায়। সাকিব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী এবং পিরোজপুর ফাজিল মাদরাসার ছাত্র।
বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ভাইকে নিয়ে মা চালাচ্ছিলেন সংসার। বড় ভাই শাওন রবিবার পুলিশ প্রশিক্ষণ শেষে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা কিন্তু তাকে ছুটতে হচ্ছে ছোট ভাইয়ের লাশ দাফনের জন্য।
কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাকিব ও তার দুই বন্ধু কামরুল হাসান সিয়াম (১৯) ও সাজ্জাদুর রহমান (১৭) মোটরসাইকেলযোগে জুজখোলা গ্রাম থেকে কদমতলা বাজারে আসছিল। পথেই তাদের এলোপাতাড়ি কুঁপিয়ে জখম করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তারা কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি পৌঁছার পর পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা স্থানীয় মামুন ও ছায়েদ সহ ৬-৭ জন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা রাস্তার ওপর পড়ে গেলে হামলাকারীরা রক্তাক্ত সাকিবকে পিটিয়ে অচেতন করে স্থান ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সাকিবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গোপালগঞ্জ পৌছার পর সাকিব মারা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে এলাকায় দু-তিন দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল এরই জের ধরে সাকিবকে হত্যা করা হয়। এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, নতুন কমিটির ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। যারা নতুন কমিটির প্রস্তুতি নিতে বলেছে এ দায় তাদের।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দ্বন্দ্বে সাকিব খুন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ হত্যাকারীদের আটকের চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত মামলার জন্য কেউ অভিযোগ করেনি।