খুলনা; বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীর তীরে নির্মাণাধীন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র দক্ষিণাঞ্চলকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত করবে। কয়লা পোড়ানোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে, বন্যপ্রাণী প্রজনন ক্ষমতা হারাবে, নদনদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হবে। উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই, তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হলে সুন্দরবনের অক্সিজেন কারখানাটি বাঁচানো যাবে না।
লক্ষ্য কোটি মানুষের প্রতিবাদের মুখেও অগণতান্ত্রিক সরকার শুধু ভারতকে খুশি করতে এখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অনড় রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা দিয়ে সরকারি দলের নেতারা তাদের স্ত্রীদের নামে কানাডায় বাড়ি বানিয়েছেন। কানাডার সেই এলাকাটি বেগমগঞ্জ নামে পরিচিতি পেয়েছে। সরকারি দলের নেতারা উন্নয়নের নামে লুটপাট করে ফুলেফেঁপে নাদুস-নুদুস হচ্ছে। তারা সরকারি ব্যাংক থেকে ভুয়া নামে ঋণ নিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। তিনি হাওরের দুর্গত এলাকার অসহায় মানুষের ক্রন্দনকে নিয়েও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বিদ্রুপ ও তামাশা শুরু করেছেন। যেখানে হাজার হাজার মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। আর তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা না করে বিনা ভোটের মন্ত্রী-এমপিরা নোংরামি শুরু করেছেন। তাদের সুরে সুর মিলাচ্ছেন কতিপয় আমলা। তার মধ্যে এক আমলা ইতিমধ্যে বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অর্ধেক লোক যদি মারা না যায়, তাহলে সে এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা যায় না। এরা মানুষ নয়, নরপিশাচ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ময়ূর সিংহাসন রক্ষা করতে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ভারতকে খুশি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে দেশের বর্তমান রাজনীতি, দলীয় অবস্থান ও ঐক্য সম্পর্কে মহানগর বিএনপির প্রতিনিধিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে প্রতিনিধি সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জয়ন্ত কুমার কু-ু, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফউদ্দিন বকুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম রবি, ড. মামুন রহমান।
এদিকে বিকালে একই স্থানে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও মনিরুল হাসান বাপ্পী ও জিএম কারুজ্জামান টুকু পরিচালনায় প্রতিনিধি সভায় উপরোল্লিখিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এখানে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড. মামুন রহমান, ডা. গাজী আব্দুল হক, সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, জুলফিকার আলী জুলু, মনিরুজ্জামান মন্টু, সরদার আলাউদ্দিন মিঠু প্রমুখ। জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সরকার জাদুঘরে পাঠিয়েছে। দেশে এখন হাসিনা মার্কা গণতন্ত্র চলছে। তার পিতা একদলীয় বাকশালকে চূড়ান্ত রূপ দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্ত তিনি পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ইতিহাসের বিবৃতি ঘটিয়েছেন এবং জনগণের ভোট ছাড়া একদলীয় বাকশাল কায়েমের পথে অগ্রসর হয়েছেন। এ কারণে শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচন নয়, নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেই নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আর সে জন্যই বিএনপি আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সকল বিভেদ অনৈক্য ভুলে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে বিকালে একই স্থানে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও মনিরুল হাসান বাপ্পী ও জিএম কারুজ্জামান টুকু পরিচালনায় প্রতিনিধি সভায় উপরোল্লিখিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এখানে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড. মামুন রহমান, ডা. গাজী আব্দুল হক, সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, জুলফিকার আলী জুলু, মনিরুজ্জামান মন্টু, সরদার আলাউদ্দিন মিঠু প্রমুখ। জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সরকার জাদুঘরে পাঠিয়েছে। দেশে এখন হাসিনা মার্কা গণতন্ত্র চলছে। তার পিতা একদলীয় বাকশালকে চূড়ান্ত রূপ দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্ত তিনি পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ইতিহাসের বিবৃতি ঘটিয়েছেন এবং জনগণের ভোট ছাড়া একদলীয় বাকশাল কায়েমের পথে অগ্রসর হয়েছেন। এ কারণে শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচন নয়, নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেই নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আর সে জন্যই বিএনপি আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সকল বিভেদ অনৈক্য ভুলে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের পতন নিশ্চিত করতে হবে।