কালীগঞ্জে দু গ্রুপের বিরোধে কাটতে দিচ্ছে না ১’শ বিঘা জমির পাকা ধান

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি খুলনা রাজনীতি সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

 

 

 
Gram Bangla

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মনোহরপুর গ্রামের মাঠের প্রায় ১’শ বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে দিচ্ছেনা সন্ত্রাসীরা। তারা আরো হুঙ্কার দিয়েছে কেউ ধান কাটতে গেলে মাঠেই কুপিয়ে লাশ ফেলে দেওয়া হবে বলে। শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের ধান না কাটতে পারায় ভুক্তভোগি ক্ষতিগ্রস্থ ১০/১২ টি পরিবারের নারী পুরুষ বিচারের দাবীতে স্থানীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের বাসভবনের সন্মুখে অবস্থান গ্রহন করে। দুপুরে এমপি আনার বিচার প্রার্থীদের মাঝে উপস্থিত হন। তিনি ঘটনাটি শুনে দ্রুত সমস্যার সমাধান সহ ধান কাটার ব্যাবস্থা করার আশ^াস দিলে তারা গ্রামে ফিরে যায়। এদিকে মাঠে দাড়িয়ে থাকা পাকা ধান ২/১ দিনের মধ্যে কাটতে না পারলে ঝড় বৃষ্টির কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হবে বলে জানান ভুক্তভোগিরা।

ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগি মনোহরপুর গ্রামবাসীদের সাথে আসা সিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির চৌধুরী জানান, আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দলে গত ১ মাস আগে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বিপুল খুন হয়। এ হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়েই গ্রামে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে উঠে। এরই জের ধরে নিহত পক্ষীয় মনোহরপুর গ্রামের আকরাম, আরিফুর, হাসান, কালো শহিদুল ও ইকবাল সহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসীরা প্রতিপক্ষের লোকজনের মাঠের ধান কাটতে বাধা দিচ্ছে। তারা ইতিপূর্বে আসামী পক্ষের লোকজনের বাড়ীঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট সহ মাঠের ৮ টি স্যালো ভাংচুর চালিয়েছিল। সর্বশেষ গত ২ ও ৩ রা মে ওইসব সন্ত্রসীরা দা লাঠিসোঠা নিয়ে ধান ক্ষেতের মাঠে মহড়া হুংকার দিয়েছে, যে কেউ ধান কাটতে আসলে তাদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে। এমন অবস্থায় প্রানের ভয়ে ওই গ্রামের মোহাম্মদ মেম্বার, সামসুল হক, জাহিদ, হুরাক ও মনছের মালিতা সহ ১০/১২ টি পরিবারের প্রায় শতাধিক বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে পারছেন না।

এদিকে বিচার পেতে এমপি আনারের বাসার সন্মুখে আসা ওই গ্রামের মোহাম্মদ মেম্বরের স্ত্রী মুন্নি ও ওবাইদুলের স্ত্রী সেলিনা বেগম জানায়, ২/১ দিনের মধ্যে মাঠের ধান কাটতে না পারলে ঝড় বৃষ্টির কবলে তাদের মাঠের ধান মাঠেই নষ্ট হয়ে যাবে। তখন তারা ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেতে পেয়ে মরবে। গ্রামবাসীরা আরো জানায়, ওই হত্যাকান্ডের পরদিন থেকেই বাদী পক্ষের লোকজন তাদের বাড়ী ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও তান্ডব চালানোতে এখনো গ্রামের পুরষ ও মহিলাসহ অনেকেই বাড়ীছাড়া হয়ে রয়েছেন। তবে অভিযোগারীদের দেওয়া এমন অভিযোগের বিষয়ে নিহত ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বিপুলের চাচা ছাত্রলীগ উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ইসরাইল হোসেন জানান, ধান কাটতে না দেওয়ার অভিযোগটি সম্পূন্ন সঠিক নহে। তার ভাইপো বিপুলের হত্যাকারী জড়িত আসামীরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে থাকায় ধান কাটতে মাঠে যাচ্ছেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *