গোটা ভারতে এখন একটি বিষয়ই আলোচিত। তা হলো ‘বাহুবলী-২’। যারা সিনেমা দেখতে হলে ছোটেন না, তারাও এবার হলমুখী। শুধু এ দলে ছিলেন না ২৯ বছর বয়সী মহেশ বাবু। ছয়-ছয়টি দিন পার হয়ে গেলেও বাহুবলী দেখেননি। এটা যেন অপরাধ করে ফেলেছেন। এ কারণে তার কম্পানি চাকরি থেকেই ছাঁটাই করে দিয়েছে তাকে।
তবে চাকরিচ্যুত করার আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মহেশ বাবু কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। পরে তাকে ছাড়পত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়। কম্পানির একটি সূত্রের দাবি, এই অপরাধ শুধরানোর জন্য কম্পানি যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি সেগুলো হেলায় হারান।
মহেশ বাবুর এক সহকর্মী জানান, বস তাকে পুরো একদিনের ছুটি দিয়েছিল বাহুবলী-২ দেখার জন্য। কাছের সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দেখলেই হয়ে যেত। অফিসে বাহুবলীর বিশাল পোস্টার অফিসে লাগিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু মহেশ বাবু কখনো ফিরেও তাকাত না। এরপরও আমরা যখন তাকে সিনেমাটি দেখার জন্য জোর করি, তখন তিনি উত্তর দেন এই সিনেমা দেখলে কি আমার কর মওকুফ হয়ে যাবে। মজা করারও তো একটা সীমা থাকে!
ওই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, আমাদের কম্পানিতে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও দৃঢ় মানসিকতার একটি উচ্চ মান তৈরি করেছি। মহেশ সেই মান স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। তিনি প্রায়ই ছোটখাটো অপরাধ করে থাকেন। তিনি আসলে এই কম্পানির জন্যই উপযুক্ত নন।
উল্লেখ্য, বাহুবলী-২ সিনেমাটি মুক্তির পর আট দিনেই ৮০০ কোটি রুপি আয়ের ক্লাবে প্রবেশ করেছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া