ভয়াবহ যানজটে স্থবির হয়ে পরেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু জাতীয় মহাসড়ক। বৃহস্পবিার দিবাগত রাত থেকে এ যানজট তীব্র আকার ধারন করে। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। যানজটের মুল কারণ ভাঙ্গা ব্রিজ, রাস্তা এবং মহাড়ক তদারকি কাজে নিয়োজিত সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ দুই কোম্পানির মধ্যে সমন্ময়হীনতার অভাব। এছাড়া মহাসড়কের দুই পাশে ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি ফেলায় মহাসড়ক এখন অধিক ঝুঁকিপূর্ন। এসব কারণেই মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে চন্দ্রা এলাকায় রাজধানী ঢাকা যাওয়ার প্রবেশধার চন্দ্র-নবীনগর-ঢাকা রোড ও চন্দ্রা-গাজীপুর রোডে যানবাহন ঢুকতে না পারায় যানজটের অন্যতম কারণ বলে হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ জানিয়েছে। আজ শুক্রবার মাহসড়ের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড় থেকে মির্জাপুরের জামুর্কি পর্যন্ত পুরো সড়কই যানজটে স্থবির। ফলে যাত্রীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। যানজটের ফলে এ মহাসড়কে বাড়ছে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই। গত কয়েক মাস ধরে চলছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুরাবস্থা।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান এবং গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে এ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেশি। যানবাহনের অধিক চাপ থাকায় চন্দ্রা এলাকায় যানবাহন ঠিকমত পারাপার হতে পারছে না। এছাড়া যানজটের জন্য চালকরাও কিছু দায়ী বলে তারা উল্লেখ করেন। যানজট নিরসনের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল সার্ভিস কর্মীরা, ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তারা।