নাটর প্রতিনিধি ; নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এক সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মা-ছেলে পাস করেছে। মা মলি রাণী পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ৫৩ এবং ছেলে মৃন্ময় কুমার কুন্ডু জিপিএ ৪ দশমিক ৪৩। দুজনেই কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেয়। মা মলি বাগাতিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং ট্রেডের এবং ছেলে মৃন্ময় বাগাতিপাড়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিল্ডিং মেইনটেনেন্স ট্রেডের শিক্ষার্থী ছিলেন। এক সঙ্গে পাস করায় মা-ছেলে উভয়ে বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতেছেন।
বয়সের বাধাকে উপেক্ষা করে ৩৫ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মা মলি রাণী কুন্ডু। উদ্যোমী ওই নারীকে নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারী বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেসময় মলি রাণী জানিয়েছিলেন, নবম শ্রেণীতে পড়–য়া থাকাকালে বাবা নঁওগা জেলার মান্দা উপজেলার প্রসাদপুরের অসিত কুন্ডু তাকে বিয়ে দেন। এরপর আর পড়ালেখা করার সুযোগ হয়নি। সংসারের চাপে পিষ্ট হয়ে গৃহিনীই রয়ে যান। এরই মধ্যে দুটি সন্তানের জন্ম দেন। বড় ছেলে মৃণ¥য় কুমার কুন্ডু এবং ছোট ছেলে পাপন কুন্ডু। ছেলেদের পড়ালেখা করাতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন তার নিজের পড়ালেখা জানা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই স্কুলে ভর্তি হন। চলতি বছর মা ও ছেলে একই বইয়ে পড়া-লেখা করে বাগাতিপাড়া ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। মলি রাণী উপজেলার গালিমপুরের মিষ্টি ব্যবসায়ী দেবব্রত কুমার মিন্টু এর স্ত্রী। ছেলের চেয়ে ভাল ফলাফল করায় উচ্ছ্বসিত মলি রাণী বলেন, ভবিষ্যতেও তিনি পড়ালেখা অব্যাহত রাখবেন।